গল্পেরা জোনাকি তে সুতপা পূততুণ্ড (অণুগল্প)

শকুন্তলা

শ্রাবনীর বিয়ে ঠিক হয়েছে বেশ সম্ভ্রান্ত পরিবারে, পাত্র ভালো চাকরি করে, বিদ্বান,আবার পালটি ঘর।

সম্বন্ধটা অনেকদিন ধরেই ঝুলে আছে,কিন্তু শ্রাবনীই রাজী হচ্ছিলো না।
শ্রাবনী আসলে ওর সহপাঠী প্রদীপকে ভালোবাসে।

কিন্তু প্রদীপের পক্ষে এক্ষুনি একটা চাকরি জোগার করা সম্ভব নয়,আর পড়াশুনাও কম্পলিট হয়নি!
শিবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করছে আর্কিটেকচার নিয়ে, এখনো বছর খানেক বাকি। অগত্যা……..
শ্রাবনী আর প্রদীপ মাঝে মাঝেই ওদের এক সাংবাদিক বন্ধুর ফ্ল্যাটে দেখা করতে যেত!
বিয়ের ঠিক দুদিন আগেই ওরা ঐ ফ্ল্যাটেই মিলিত হয়!
তারপর আর দুজনের সাক্ষাত নেই……
শ্রাবনী বেশ গুছিয়ে শশুর বাড়িতে সংসার করছে,এক মেয়ে,সুন্দরী শিক্ষিতা,অনেকটাই শ্রাবনীর মত দেখতে!
শুধু ডানদিকের ঠোঁটের পাশের কালো তিলটা ছাড়া……..
শ্রাবনীর মেয়ের আজ বিয়ে, পাত্র নিজের পছন্দ, অনেকজন নিমন্ত্রিত,
তার মধ্যে প্রদীপের সাংবাদিক বন্ধু তাপস ও আছে!

অনেক বছর বাদে হলেও তাপস শ্রাবনীকে ঠিক চিনতে পারে! কিন্তু শ্রাবনী এড়িয়ে যায়……..
রাত্রে খাওয়াদাওয়া শেয হলে গেটের বাইরে শ্রাবনী আর তাপস মুখামুখি……
তাপসই আগে কথাবলে জিজ্ঞেস করে চিনতে পাড়ছে কিনা?
শ্রাবনী বলে হ্যা সেও চিনেছে। জিজ্ঞেস করে প্রদীপের খবর জ্যনো?
শ্রাবনী বলে… না।
তাপস, জানো প্রদীপ এখনো সিঙ্গেল!
শ্রাবণী কিছুক্ষনের জন্যে স্তব্ধ হয়ে যায়! বিস্ময়ে……
সম্বিত ফেরে তাপসের কথায়,আচ্ছা তোমার মেয়েকে দেখলাম তোমার মতই! শুধু ডানদিকের তিলটা…..ছাড়া।
আমার খুব চেনা, আচ্ছা ওর নাম কি রেখেছো?
শ্রাবনী বলল,
শকুন্তলা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।