কবিতায় শান্তনু প্রধান
ভারী চশমা
ভারী চশমা থেকে জানালা সরে গেলে দেখতে পাই
দিগন্ত ছোঁয়া মাঠ
ঝিরঝির বৃষ্টি মেখে পাখিরা উড়ছে
জানালার ধার ঘেঁষে সন্ধানী কুকুরের আশ্চর্য ডাক
তারপর আলোহীন সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলো কালো ছায়া
ওপারে ঝোপঝাড় ভাঙা শিবমন্দির
বিকেল ফুরিয়ে আসছে ভেবে সেবার তোমার যাওয়া হলো না
পাঁচিল ঠেসে পরিচিত আগুন
জানালা টোপকে বসে পড়েছে তক্তপোষে
হৃদয় আছে কিনা জানা নেই
কুহক বাতাস কার কাছে তবে মুক্তি চাইবে ভারী চশমা
নিষিদ্ধ অতীত ভেঙে গলিত মাংসে ঘুম ভাঙে যার
তিনি কি তবে আমাদের ঈশ্বর
ঝলসে যাওয়া পোশাকের আকুতি গুলো
জীবিত চশমার কাচে আশ্রয় খোঁজে
দিগন্ত ছোঁয়া মাঠ কেন যে আরো বেশি উন্মাদ হয়ে উঠল
বোধ আর চৈতন্য উলঙ্গ করে ঝরে পড়ছে লোভের পাতা
এই ভ্রমণ শেষ হলে বিনিময় নয়
মালভূমি জেগে থাকা অশথতলায় আমাকে রেখে দিও
আর একটা কথা
শিবচতুর্দশীর রাত্রে ভারী চশমাটা রেখে এসো
যেখানে আঁচল পেতে চাঁদ থাকতেন প্রহরায়।