সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ৭৭)

রেকারিং ডেসিমাল

ফাল্গুনের দোল যেতে না যেতে যেই চৈত্রের ফাটানো গরম পড়ে,  দক্ষিণ কলকাতাবাসী সব মহিলার মন, যমুনা নদীর কূলের কদমগাছের থেকে ভেসে আসে কানু হারামজাদার বাঁশির সুর শুনতে পাওয়ার মত উতলা হয়ে ওঠে।
ভিতরে ছটফট করতে থাকে আকুতি,  আহা আহা, কি করে যাই। ওগো আমার গড়িয়াহাট। অহো আমার চৈত্র সেল।
এই সময়ে গড়িয়াহাটের ফুটপাতে না যেতে পারলে জেবন বৃথা।
উচ্চ, মধ্য, নিম্ন, আসে যায় না।

সেল, দা গ্রেট লেভেলার।
সবাই যার যার ক্ষমতা অনুযায়ী, ডিসকাউন্ট ডিসকাউন্ট বলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে স্টক ক্লিয়ারেন্স মার্কা দিয়ে  স্তূপ করে রাখা শাড়ি, কুশন কভার, বিছানার চাদরের ওপরে।
পছন্দসই কিছু একটা পেলেই দিগবিজয়ী বীরের মত হাসি নিয়ে সেলসম্যানকে হাত তুলে চেঁচাচ্ছে, দাদা, ও দাদা, এইটা, এই যে, কত ডিসকাউন্ট?  হ্যাঁ, কত বললেন?  ডিসকাউন্ট দিয়ে কত?

হয়ত সামান্য ছাড়। হয়ত, অন্য সময় এ রকম দামে দোকানেই পাওয়া যাবে।
কিন্তু না।
এই ডিসকাউন্ট পাওয়ার অসীম লোভ।
পাতলা কাগজে লাল দিয়ে ছাপা থাকবে সেল।
তবে না ?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।