কাব্যানুশীলনে সুপ্রভাত মেট্যা

এক টুকরো ঈশ্বর তোমাকে
সারা বয়স আলোর, তুমি চাইতেই পারো।
তবে সে হিসেবে অন্ধকার, সে আসবেই সময়!
ভালো নেই বলতে নেই, এমন সহজ সরল অসত্য কথাটাই এখন সহজ সত্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মাথায় ধান নিয়ে হরিচাষি একদিন
আমার কবিতায় কী আশ্চর্য খই ফুটিয়ে, হাতে গরম অক্ষর সাজাতেই, আমি কী যে হয়ে উঠি!
দ্যাখো, বাইরে ধুলোর হাওয়ায়
আবির মন আমার রঙিন উড়ছে, আকাশ রাঙিয়ে,
রৌদ্র মাখা হলুদ কাপড়ে তার পড়েছে সন্ন্যাস।
আর সেইখানে, সেই সন্ন্যাস যাপনের সরু পথ চলে গেছে
গেরুয়া ধুলায় পায়ে পায়ে গৃহস্থের বাড়ি ছেড়ে
অনন্তের দিকে, দিকশূন্য পাড়ায়।
সেইখানে, প্রাচীর সীমানায় লাঠি সুরক্ষিত শরীর হেলিয়ে
যেই না বিকেল নামে, তুমি বলেছিলে,
দাদাঠাকুরের গল্প নাকি এমনই,
শেষ হওয়ার আগে অবধি রৌদ্র প্রভায় তা ঝলমল করে ওঠে।
এখন মাটির স্পর্শ কমে গিয়ে ক্রমশ উদ্বায়ু হৃদয়……
বিদেশী পারফিউম আর ফেনা ভাতের দুপুর গন্ধে
মিশে যাচ্ছে সময়, সম্পর্ক।
কাঁপে ঠোঁট, আগুন পোয়ানো হাওয়ায়।
এইসময় ভাবি, ভারি বৃষ্টি এসে লিখে দিলে তোমার শরীরে,
সেই গল্প, পাতা ও ফুলের ফাঁকে যেটুকু আলো পড়ে
নতুন কবিতা হয়ে ওঠে, আমি কি সেইরকমই চাই?
এই ভুলে যাওয়া আমার কান্নার ঠিক পাশে
তুমি কি এখনও সেই জ্বলজ্বল করে ওঠো?
আমি চাই, হ্যাঁ আমি আজও চাই, ভালোবাসা কুড়াতে গিয়ে
মাঠের সবুজ ক্ষেতের নরম হৃদয়ে
খুঁজে পাই যেন সহজ কথার ঠিক এক টুকরো ঈশ্বর তোমাকে।