কাব্যানুশীলনে শ্রী সদ্যোজাত

কেমন আছো শারণ্যা?
তোমাকে দেওয়া শেষ চুমু’তে কোনও ক্ষত ছিল না, অসংখ্য আঁচড় ছিল দুর্নিবার মৃত্যু ছিল,
একটা সময় ছিল আমার মিস কালো ঠোঁট তোমার বন্য তলপেটের অনাবিষ্কৃত তিল তিল নিষিক্ত ঢেউ ছিল ,,,,,,,
তোমাকে ভালবাসার আজন্মকাল অধিকার শুধুই আমার.
এক অলিখিত যুগ যুগান্তর শান্ত অধীর দীর্ঘ কৃষ্ণচূড়াটার মতন,
তোমার ভাদ্র বুকটা কবে এসে ঢাকবে বলতো আমার ফাল্গুনী ক্লেশ,
তোমার সরীসৃপ নিবিরতা কবে এসে ধরবে আমার ঘর্মাক্ত অবকাশ ,
তোমায় দেখব অগণিত মূলে মূলে,
অজস্র কোষে কোষে,
কোনো দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শরীরের মতোন নয় ,
তুমি আমায় আদর করবে সকল পিছুটান এর অংক সারা আঠালো কোনো উলঙ্গতার অনিমেষ কার্নিস চুঁয়ে,
ঠিক যেমন
বিষাক্ত ভালোবাসার নিষিদ্ধ ছোবল,
বিবিধ আগল,
বলো হরি -‐——হরি বোল
কি যে করি ওই রূপে আঁধারে পাগল,,,,,
যোজন যোজন চৌকাঠ না ভাঙলে সদর দরজার ইতিহাসটা ধামাচাপা পড়ে যায় ,
বিধস্ত প্রেমের নামহীন গন্ধটা আকাশ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে না ,
এই একাকী পথ চলতে চলতে পথের দুরত্বটা
ভোর-রাত হয়ে তোমার আটপৌরে বাউলে জড়িয়ে ধরে,,,,,
সারণ্য তুমি কি সত্যিই কোনো নিলাম হয়ে যাওয়া
নীলাভ পুরুষের নিশিতে ডুবে মরতে পারো ??
একটা মিথুন প্রতীক্ষা
শারণ্যা আসবে
শারণ্যা চলে যাবে…