নির্বাচিত কবিতায় শাবানা ইসলাম বন্যা

তাঁরে পাবে খুশির বানে

সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা, ধারণ ক্ষমতা অসাধারণ
তুমি যে কাগজি বন্ধুমন, চুপকথা হয়ে রও তখন।
চলে পাতায় পাতায়, আলাপ, প্রলাপ, বিলাপ
নেই কোন তোমার খরতাপ, নীরব, চুপচাপ।
মানুষের কী তা আছে? ক্ষণে ক্ষণে আগ্নেয় উত্তাপ
নয়তো বারি ঝরে টুপটাপ।
এ্যানার ডায়েরিও এ কথাই বলে যখন
তাই আমারও মন পড়ে রয় কাগজেই, লিখি মন কথন।
দিকে দিকে হাহাকার, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম
চাই বাড়ি, চাই গাড়ি, চাই মান, চাই সেলিব্রেটি নাম।
প্রয়োজন, প্রয়োজন, ভীষণ রকম চাপ, নাম তার অভাব
প্রকৃতির প্রতিশোধ,থমকে যাওয়া সময়,ঘুচে না মানুষের অমানুষ স্বভাব।
সম্পদ যেন অদ্রিসম
চলন্ত, ছুটন্ত ব্যস্ত সমস্ত।
হায়, কে চায় কার পানে
বাঁচে আপন প্রাণে, বীণা বাজে না কারো তানে।
আষাঢ়ের হাতছানিতে আকাশ কাঁদে
শ্রাবণ বরষ ঘুরে বান আনে।
এ যেন চিরদুঃখীর নিয়তির ফলন
বানভাসি মুখ গুলোর আস্ফালন।
শস্যের ক্ষেতে সুখের হাসি ফোটে
তৃপ্তি, সুখস্বপ্ন, মোটে দু’মুঠো ভাতে।
আহারে জীবন, আহ্ প্রিয় বাংলা
আজও চেয়ে থাকা, হলো না কপাল খোলা।
অভাব, অভাব,অভাব
মানুষ নামের মানুষের চরম অভাব।
কিনতে চাও খুশি, চাও ঈশ্বরের খোঁজ
তবে দাও না জগজনে তৃপ্তি রোজ।
পাহাড় গড়ার সাধ যার, সবুজাভ পাহাড়ে রয় কি সে আনন্দে ?
সাদামাটা জীবন বেসুরো সুর তুলে তার চলার ছন্দে।
পরিবেশ বান্ধব মন, সবুজবীথিকায় আনন্দে
লেখনির খাতা পায় পরিপূর্ণতা হৃৎস্পন্দনে।
পাহাড়ের ঢল,তটিণীর জল, দু’নয়ন নোনা প্লাবনে
বাঁধ দিয়ে নোনা স্রোতে, বাঁচতে পারি না কি খুশির বানে?
বিধাতারে খুঁজি সেজদায়
জানো কি না জানি?
তবে আমি মানি,
তাঁরে পাবে মানুষের খুশি ভরা মনটায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।