গল্পবাজে সুদীপ ঘোষাল

সুপুরি

মনের আনন্দে ব্রজধূলি হয় অন্দরবন্দরে, তরুণ ডুবতে ডুবতে খেলে রসকেলি

উন্মুক্ত নাট্য ভঙ্গিমায় নরম কানপাশা প্রিয় যুবক ঝুমকো বুলিয়ে ভোলে যন্ত্রণা

ওপাশে বাদকের ঢোলে কাঠির রোমন্থন তরুণী বিচিত্র লয়ে বিলিয়ে দেয় স্বত্ব…

আকাশী দৃষ্টিতে মহাকর্ষের মলম স্বর্গনরক কামনার ঢেউ

পরিণত বসন্তের ইমনে বাঁশুরিয়া, সুর তোলে, যত গোপন ঘরের বীণায়

জেগেছে লম্বভাবে সৃষ্টি দুয়োরঘর, জাগছে শক্ত খুঁটির জোর

পোড়া বাঁশির সুরতোলা বেহাগে, উদ্দাম মাতে তরুণীর সুপ্ত ছৌ…

ফাগুনের পাগল হাওয়ার মত কিশোরী মন সীমাকে প্রেমের প্রথম’ সা’ শিখিয়েছিল
চলকে উঠেছিল সফেন সমুদ্রের মত কোমল ত্রিকোণ
জঙ্গলের পাশবালিশে গভীর দূরত্বে উষ্ণতার অনুভবে
চঞ্চল বেসামাল নাবিক দিশেহারা আজও সে কি জানে পথশেষের গান

আজও ছিঁড়ে যায় পল, নবচেতনার চঞ্চল আঘাতে
লালবাড়ির ‘বৌকথাকও’পাখিটা পুকুরে সাদা শাড়ির আড়ালে লুকিয়ে রাখে বেসামাল স্বপ্নের আড়াল
বিপিনবিহারী বাঁশি বাজায়, পুকুড়পাড়ে চন্ডীদাসের মত ছিপ ফেলে
ডাগরদুপুর সাদারঙে রাঙিয়ে দেয় উপোষী সিঁথির গলি
সুপুরিমাথা জাগায় সুখের পুকুর
ঝর্ণাকলমে কালি ঢালে সফেদ পাতায় উদ্দাম জংলানদীর ঢেউ
তরুণি তরতরিয়ে বিলিয়ে দেয় গোপন স্বত্ব..

সাফল্য

দুঃখগুলো মাটির ভাঁড়ে জমিয়ে রাখি
কষ্টগুলো একটা একটা করে ঝরে পড়ে শরীরের সৈকতে
ভালবেসে তুলে রাখি তাকে অনিশ্চিত দুপুরে
জমানো কষ্ট আর দুঃখ বেচে তৈরি করি ভাড়াটে সকাল
কিছুদিন পরে হৃদয় ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিই দুমুঠো শান্তি
তৈরি হয় প্রেমের জাহাজবাড়ি
রুটি তরকারি খাই ভালবাসা ও কষ্টের সাজানো থালায়

নিরাশার আকাশে জেগে ওঠে ধীরে সোনার ফসল
সাফল্যের চাঁদ হাসে কুটিরে দীর্ঘ অমাবস্যার অবসানে
মাটির ভাঁড়ের সুখ এবার উপচে পড়ে আষাঢ় মাটিতে….

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।