অভির দাদু মরে গেছে আশি বছর বয়সে।তখন অভির বয়স ছিল দশ বছর। তার দাদু আমাদের ভয় দেখাতেন দাঁতগুলো জিভ দিয়ে খুলে নাড়িয়ে। ছোট অভিও ভয় পেত হঠাৎ ফুরিয়ে যাওয়া শৈশবে।
দুর্গাপুজোর আগে ঘরে ঝারপোছ চলে। অভি এখন সংসারী হয়েছে। ঘর পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ তার নজরে পড়ল পুরোনো কালো কৌটোর প্রতি। বেদনার স্মৃতি খুলে দেখে দাদুর পুরোনো বাঁধানো দাঁতের পাটিগুলো এখনও হাসছে । সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় শৈশবের রঙীন কৌটোর ভালোবাসা। দাদু এই দাঁত খুলে ভয় দেখাতেন অভির বন্ধুদের । অভি তখন জানত না এগুলো আসলে নকল দাঁত।
ঘর পরিষ্কার করা আজকে আর হল না। দাঁতগুলো দেখে দাদুর মুখ মনে পড়ছে বারেবারে। অভি আদরের দাঁতগুলো জলে ধুয়ে রেখে দিলো সোহাগি কৌটোর ভিতরে। এগুলো দাদুর স্মৃতি আর সোনালী জীবনের নিদর্শন।