ধারাবাহিক রম্য রচনায় সংযুক্তা দত্ত – ২৬

 

শীতকালের ফাংশন মানেই হবে জমজমাট ধামাকেদার তাই না?
তা আমি তো একদম উইন্টার কার্নিভ্যালের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছতাম ভাইজ‍্যাগ থেকে আর সব গ্রাউন্ড ওর্য়াক সেরে রাখত আমার কাকিমা।
তো একবার অনেক ধরনের মেডলি, বাংলা ও হিন্দি গানের ওপর অনেক গুলো নাচ হবে। আমার জন‍্য জায়গা রাখা ছিল একটি নাচের জন‍্য সেটা হল ” রূপ তেরা মস্তানা”। তিনটি জুটি পারর্ফম করবে। আমার পার্টনার ও রেডি। কোরিওগ্রাফিও কমপ্লিট। বাড়িতে সুটকেস রেখেই ছুটলাম নাচ শিখতে কারণ আমার খুঁতখুঁতুনি। একলা নাচলে তবু কিছু মেকআপ দেওয়া যায় কিন্তু গ্রুপ পারফরম্যান্সে কোওর্ডিনেশন না থাকলে বিশ্রী লাগে। লাইভ গানে ছিল সুপরিচিত শিল্পী কিশোর কন্ঠী শ্রী অমিত গাঙ্গুলি। তাই জন‍্য টেনশনও ছিল। আমার দুটো নাচ, তার জন‍্য প্রাক্টিস করে ভালোই রেডি ছিলাম।
এইবার আমার ভাগ‍্যে যেমন হয়ে থাকে আর কী, শেষ মুহুর্তে একটি গান যোগ হল উত্তম কুমারের বিখ‍্যাত গান
“আমি কোন পথে যে চলি আর কোন কথা যে বলি”, আর সেই গানে নাচ করতে হবে আমার নাচ বালিয়ের পার্টনার আর আমাকে। আর একদিন বাকী অনুষ্ঠানের। কোনমতে বারান্দায়, রাস্তায়, দরজার সামনে যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে নিজেরাই কোরিওগ্রাফি করে ঠিক করে নিলাম। কিন্তু শেষ মুহুর্তের করা তাই মনে রাখা খুব দুষ্কর। এবার স্টেজ রির্হাসালের দিন দেখা গেল যেহেতু সেই স্টেজেই ফ‍্যাশন শো হবে তাই লম্বা র‍্যাম্প তৈরী হয়েছে সামনে। সেই র‍্যাম্পটাও কভার করে নাচটা করতে হবে নয়ত খুব বাজে দেখাবে। কী টেনশনের ব‍্যাপার!
তবে ওই আমার মন্ত্র, ” দ‍্য শো মাস্ট গো ওন”, পার্টনার কে বললাম, ভেবো না স্টেজে কোনদিকে যাব আমি বলে দেব। আর কী, স্টেজে উঠে আমি বলে চললাম, এবার ডানদিকে,এবার বাঁদিক, এবার সামনে চলো।আর সেও পাক্কা পারফর্মার তাই পুরো ব‍্যাপারটা হলে যাকে বলে ‘পুরো মাখন’।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।