মাঝখানে ফাঁকা মাঠ
সন্ধ্যে হব হব
এ ব্যালকণীর লম্বা চুমুক শেষ চায়ের কাপে
ওপাশে স্থির দৃষ্টি
মুখোমুখি
দমকা হাওয়ার ধাক্কা
ভাসতে ভাসতে ছায়া
আরো সামনে … গভীর সন্ধ্যে …
ও বাড়ির ব্যালকণী সারাদিন যতটা ফুটেছে
এখন চাদরে ঢাকা
বাইরে সামান্য হিম
চাপা তীব্র বায়ুশব্দ জিভে
চাদরের তলা দিয়ে পাশাপাশি দুই আমি
দু’টি ভদ্রহাত
খুররম-শাজাহান এ ওর তরোয়ালের
ধার পরীক্ষায়
বেডরুম – ১
সাপ বেরিয়েছি ফের অ্যাসিড তুচ্ছ করে
পারি না গো বন্ধুরা
এমন কি জন্য দেখি … কেন হয়
কিলবিল করি গোটা ধবধবে বিছানা জুড়ে
ওপরে উঠতে থাকি
সত্যি পারি না … জ্বালা …
পাকিয়ে দড়ির মতো দোমড়াই মোচড়াই
জিভটা ঠেকিয়ে সোজা উঠতেই থাকি … ঘুরি…
নদী সাঁকো সমুদ্র সূর্যোদয় পাহাড়পর্বত টিলা
নীল বিষ ঢেলে যাই
জঙ্গলে ফণা তুলি
আছড়াই ছোবলাই গোটা দাঁতে ভাঙা দাঁতে
এদিকওদিক দেখে তৈরি গর্তে জলদি
শান্তি কিছুক্ষণ
শীতঘুম
বেডরুম – ২
ও বাড়ির আশ্চর্য বিছানা
আমায় বরাবর বাঁচিয়ে রাখে
তাপ দেয় ঘুম দেয় কেটে গেলে মলম লাগিয়ে দেয়
একশো থেকে শূন্য যেকোন ওয়াটের আলোয়
যখন যেটা ইচ্ছে ঘুমিয়ে সিনেমা দেখায়
রাত্রে সূর্য দেখায়
যত্নে দৃশ্য সাজিয়ে বারুদে আগুন দেয়
একটু আগেই চোখে ঘুম ছিল ঝিম ঝিম
পর্দা জুড়ে রঙিন ত্রিভূজ সূক্ষ্মকোণ
লম্ব বৃত্তাকার চোঙ
ছিটকে ছুটছে হাঁটছে গুটিগুটি
উজ্জ্বল লাল দুটো লম্বা লিপস্টিক
রঙে ডুবে ঘষে ঘষে সারারাত মাখামাখি
লিপস্টিক মেখে খাটে দু’খানা মেনিবেড়াল
বাটিতে দুধ খাচ্ছে এর বাটি ওর বাটি
চার পেগ ভদকায় নেশায় টলছি যেন
খুঁজছি হাতড়াচ্ছি কিছু
থাক কাল কথা হবে।