ধারাবাহিক রম্য রচনায় সংযুক্তা দত্ত – ১৬

 

স্কুলে পড়তে একবার আমিও ওই রচনাটি লিখেছিলাম মানে যেটা আমরা সবাই স্কুলে থাকতে লিখেছি।
আমি লিখেছিলাম, আমি নৃত্য শিক্ষিকা হতে চাই
বাড়িতে সবাই জিগ্যেস করেছিল, নৃত্য শিক্ষিকা
কেন লিখলি? নৃত্য শিল্পী
লিখতে পারতিস।
তখন বুঝিনি কেন লিখেছিলাম। এখন বুঝি, আসলে আমার নৃত্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেখে
মনে হত, তারা কী সুন্দর করে নিজেদের সৃষ্টিকে সবার মধ‍্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কাল গেল শিক্ষক দিবস। প্রতিটি ক্ষণ ই তো আমরা শিখছি। তবুও তো আমরা দিবস উদযাপন করি।তাই আজ আমার নৃত্য জগতের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা বলতে ইচ্ছে হল। আমার প্রথম নৃত্য শিক্ষিকা ছিলেন এক কথ্থক নৃত‍্যশিল্পী, আজও যে তালজ্ঞানটুকুর ভরসায় নাচি তা ওনার ই দান। ধা ধিন ধিন ধা করার সময় সেই আন্টির আর্শিবাদের ছোঁয়া পাই আজ ও।
এক স্বনামধন্য নৃত‍্যশিল্পী দ্বয় স্বামী স্ত্রী দুজনের সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। নাচের ভাব বুঝিয়েছিল তাঁরা। প্রতিটি শব্দ কী ভাবে প্রকাশ করতে হয় ধরে ধরে শিখিয়েছিল তাঁরা। শুধু চোখ দিয়ে কেমন করে পৌঁছে যাওয়া যাই দর্শকের হৃদয়ে ওনারা শিখিয়েছিলেন। আজ যখন নাচি ওদের শেখানোয় আমার প্রকাশ ভঙ্গিমার সম্বল।
যখন আমি নৃত্য শিক্ষিকা ভুমিকা পালন করেছি তখন বুঝেছি, আমার সৃষ্টি ছাত্র ছাত্রীরা পরিবেশন করছে, সে আনন্দ অবর্ণনীয়।
শেখার কোন শেষ নেই। তাই আমরা সবাই শিক্ষক আবার সবাই শিক্ষার্থী।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!