গল্পেসল্পে সুবল দত্ত – ৩

ক্রমহনন

Tragedy was the tragedy inside

জাহাজ ফ্রাইডে হারবার পোর্টে নোঙর বাঁধতেই মাদুরা ডকিয়ার্ড থেকে যখন গাড়ি বার করে আনলো,তখন সূর্য মাথার উপরে। চেকিং পয়েন্ট এ গাড়ি দাঁড় করাতেই মাদুরার বুক কাঁপতে লাগলো। ওদের হাতে থার্মল সেন্সর আছে। রায়াকে আটকে দেবে না তো? আড়চোখে পিছনে দেখল রায়া বিন্দাস,গুনগুন করে একটা সুর ভাঁজছে,মুখে মাস্ক। সিকিউরিটি ব্যারিকেড তুলে কেবল কাগজ দেখতে চাইলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মাদুরা। ওখান থেকে বেরিয়ে রায়া বায়না ধরল জাপানী রেস্তোরাঁতে সুসি সিউইড হিমাচি আর ওয়েসটার খাবে। তবুও পথে। মাদুরা জিজ্ঞেস করল পেট ঠিক আছে তো? -ফাইন। একটা ললিপপ চাটতে চাটতে তার জবাব।-এবার কোথায় যাবো আমরা?

-আমরা একটা রিমোট আইল্যাণ্ডে যাবো। তোমার কোনো আপত্তি নেই তো রায়া?

-তুমি নরকে নিয়ে চলো বেবি আমি সেখানেও মরতে রাজি। একমনে ক্যান্ডি চুষতে চুষতে রায়ার জবাব।

-এরকম কথা কেন বলছ রায়া? আমরা একেবারে হেভেনলি প্লেসে যাবো। চলো একটা বোট হায়ার করি।

মাদুরা কিছুদূর গাড়ি চালিয়ে সমুদ্রের তীরে একটা ইয়াট ক্লাবে গেল। গাড়ি পার্কিং লটে সাতদিন থাকার টিকিট কেটে ইয়াট ক্লাব থেকে নীল রঙের সুন্দর একটা ছোটো বোট ভাড়া করল। ডিকি থেকে প্রচুর প্যাকেট নামিয়ে বোটে রাখতেই রায়া বলে উঠল,-এতো এরেঞ্জমেন্ট! আনবিলিভেবল! বেবি,তোমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে ইচ্ছে করছে। কাম অন লেটস হ্যাভ, প্লিজ।

মাদুরা ভয়ে কেঁপে উঠলো। ব্যস্ত হয়ে একটু দূরে ছিটকে সরে গিয়ে বলল,-তোমার মেডিসিনস সঙ্গে আছে তো?

–টু হেল ইয়োর মেডিসিন। কি হবে বেঁচে যদি তোমাকে না পাই? রায়ার চোখে জল। বোটে উঠে এঞ্জিন স্টার্ট করতে করতে অস্পষ্ট গলায় মাদুরা বলল,-হবে হবে রায়া। চলো ওখানে পৌছোই। এসো বোসো। দেখো রায়া, তুমি মেডিসিন ডিজিজ এইলমেন্ট এইসব ভালোই জানো। ভাইরোলজি নিয়ে ডক্টরেট করছ। তোমার সব জানার ভরসাতেই তো ওই লোনলি প্লেসে যাচ্ছি। তাই না?

রায়া চোখ মুছে একটু হেসে বলল,-বেবি প্লিজ আমাকে নিয়ে অত ভেবোনা। তোমার কোনো ক্ষতি হতে দেবনা।

প্রায় একঘণ্টা লাগলো দ্বীপে পৌছতে। দ্বীপের নাম ব্রাউন আইল্যান্ড। মাদুরা যে কোম্পানিতে কাজ করে,তার সিক্সটি পারসেন্ট মালিক এই দ্বীপটি কিনতে চায়। মাদুরাকে একবার দেখে আসতে বলতেই তার এই প্ল্যান। এতো মনোরম আইসোলেটেড প্লেস পৃথিবীতে আর কোথাও কি আছে? মাদুরা ভাবে। জীবন হোক বা মৃত্যু,এখানে দুটোতেই শান্তি স্বস্তি মুক্তি। একমাসের খাবার প্যাক করা আছে। জনশূন্য নির্মল এই দ্বীপে প্রকৃতির কোলে মোস্ট প্রিমিটিভ হয়ে কাটাই রায়া। এটলিস্ট আমাদের দ্বারা পৃথিবীতে সংক্রমন তো হবেনা? মরি মরবো বাঁচি বাঁচবো। টু সিটার ছোট বোট। মাদুরার অস্বস্তি হচ্ছিল আবেশও হচ্ছিল। প্লাস্টিকের পিপিই জ্যাকেট মুড়ি দিয়েও রায়ার দুর্দম স্পর্শ,মাস্ক ভেদ করে তার শ্বাসের সুবাস। প্রতিটি ঘ্রাণের সাথে প্রতিটি সেকেন্ড মাপছিল মাদুরা। কিছু করার নেই। যা হবার তা হবেই। এক ঘণ্টা পরই ব্রাউন দ্বীপের সৈকত দেখা গেল। সমুদ্রতটে প্রচুর মাখন রঙের সীগাল। বোট তীরে ভিড়তেই ওরা সরে জায়গা দিল। বীচটা অনেকটাই শ্যালো। নীল জল থেকে ছোটো ছোটো সাদা ঢেউ তীরের অনেক আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখানে হয়তো টাইড্যাল হয় না। পুরো সাগর কিনারা জুড়ে ঘন ওকগাছের সারি। ভিতরে নিশ্চয় গভীর জঙ্গল। মাদুরার মাথায় হাত। বোটেই বসে রইল। বোট থেকে নেমেই রায়া নাচতে শুরু করে দিল। ‘ওয়াও! এমেজিং!’ নাচতে নাচতে দৌড়ে দিব্যি ওকগাছের জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে গেল।রায়ার ভয়ডর নেই। সামনের অজানা জঙ্গলে ভয়ংকর কিছু থাকতেই পারে,শরীর জুড়ে ভাবী মৃত্যু, কুছ পরোয়া নেই। একেবারেই অচেনা বিচ্ছিন্ন পৃথিবী খন্ড। ভয়ংকর কিছু থাকতেই পারে। মাদুরা ভাবল,হয়তো এটাই সাইকোলজি। মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনে এমনই মানসিকতা হয়ে যায়।

একটুপরই ও নাচতে নাচতে বেরিয়ে এলো। দাঁত খুলে হাসি। এখন আর ওকে দেখে মাদুরার খারাপ লাগলো না।

-বেবি! ফর গডস সেক,ইটস রিয়ালি হেভেন। এই গাছগুলোর পিছনে একটা লার্জ লার্জ গ্রাস ভ্যালি। ইউ কান্ট বিলিভ। ভ্যালির মাঝে একটা ব্লু লেগুন। বেবি চলো ওখানেই আমরা টেন্ট বসাই। লেটস গো।

একটা বড় পাথরখন্ডে দড়ি পরিয়ে বোটকে নোঙরবদ্ধ করে জিনিসপত্র নিয়ে দুজনে একটা বড় ওকগাছের নিচে বসল। সন্ধে নেমে আসছে। লেগুন জলাশয় বেশি দূরে নয়। তবু রায়া জিদ ধরলো ওর কাছাকাছি তাঁবু ফেলতে। রায়া নাচতে নাচতে জলাশয়ের দিকে দৌড়ল। মাদুরা ওকগাছ প্রদক্ষিন করে শেষে খাঁজ ধরে গাছে চড়ল। একটা চৌড়া শাখা গোড়া থেকে একেবারে হাতের নাগালে। এতো চৌড়া যে ওখানে শুয়ে থাকা যায়। মাদুরা গাছ থেকে নেমে টেণ্ট ও আর একটা প্যাকেট নিয়ে রায়ার কাছে গেল। সন্ধে এখনো নামেনি। তবে জলাশয়ে লাল রঙ ধরেছে। ফোল্ডিং তাঁবু সেট করতে দেরি লাগলো না। রেডিমেড,আনফোল্ড করলেই হলো। রায়া জলে পা নামিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতো স্বচ্ছ জল মাদুরা কখনো দেখেনি। জলের প্রব্লেম সলভড। রায়ার সাদা পায়ের পাতার কাছে ছোটো ছোটো লাল কাঁকড়া খেলা করছে। পাশে দু একটা শেল ফিস। রায়া তন্ময় হয়ে দেখছে। মাদুরা এতো কাছে আছে,ওর হুঁশ নেই। মাদুরা সব ভুলে ওর কাঁধে হাত রাখল। – রায়া,তোমার টেণ্ট রেডি। আমি তোমার কাছে এখানে অনেক রাত অব্দি বসে থাকব,যতক্ষণ তুমি চাইবে। কিন্তু টেণ্টএর ভিতরে তুমি, আর আমি ওই ওকগাছের উপরে ডালে। রায়া কিন্তু কোনো জবাব না দিয়ে হেসে নিচে আঙুল বাড়িয়ে বলল,

-দ্যাট বিগ প্যাকেট। ওটাতে কি আছে আই ক্যান গেস।

মাদুরা হাসল।- হ্যাণ্ডল উইথ কেয়ার? এনিবডি ক্যান গেস। ইউ লাইক ড্রিংক্স?

-ইয়া,অফকোর্স।

-তবে একটু অপেক্ষা কর। মাদুরা ফিরে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে কিছু শুকনো ডালপালা কাঠ নিয়ে এল। মোমবাতি অনেক আছে। কিন্তু কতদিন থাকতে হবে জানিনা। সাবধানে খরচ করতে হবে। ততক্ষণে রায়া কার্টনের প্যাক খুলে একটা হুইস্কির বোতল বের করেছে। রায়াকে বারবার খুব কাছ থেকে চুলচেরা পর্যবেক্ষণ করেও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। রোগের কোনো লক্ষণই ওর মধ্যে নেই। তবে কি আমি বৃথাই সন্দেহ করছি? ম্যানহাটানের মিডটাউন কনভেনশন সেন্টারে ওরা তো সবরকমের টেস্ট করে তবে রায়াকে ছেড়েছে। তাহলে? তাহলে এনজয় কর। এই বিচ্ছিন্ন পৃথিবীতে নিষিদ্ধ বিষ আপেলের কথা চিন্তা না করে, হে আদম, ইভকে নিয়ে আনন্দে মাতো। ওই দেখ তোমার লিগ্যাল ইভ মদিরা গলায় ঢালছে। মাদুরা পিপিইর জিপে টান মারতে যাবে এমন সময় কাশির শব্দে চমকে থেমে গেল। হুপিং কাশির মতো একটানা কেশে চলেছে রায়া। কাশতে কাশতে শুয়ে পড়েছে। মাদুরা ব্যস্ত হয়ে এগিয়ে যেতে গিয়ে থমকে গেল। লক্ষণ দেখা দিল কি? মাদুরা দুপা পিছিয়ে গেল। রায়া একটানা কাশতে কাশতে থামল। একেবারে নিশ্চল। দ্বিধাগ্রস্ত মাদুরা রায়া রায়া বলে দুচারবার ডাকল কিন্তু জলাশয়ের পাড় থেকে একটা পাখীর কোয়াক কোয়াক ডাক মাদুরাকে ছাপিয়ে গেল। মাদুরা দেখল পাতিহাঁসের মত খুব সুন্দর একটা পেসিফিক লুন পাখি পাড়ের কাছে এসে পড়েছে। মাদুরা আতঙ্কিত অসহায় হয়ে একদম স্থির হয়ে দাঁড়িয়েই রইল। পাখিটা কিজানি কেন হেলতে দুলতে জল ছেড়ে রায়ার কাছে এসে পড়েছে। মাদুরার খুব কষ্ট হল। ওই অচেনা পরিযায়ী পাখিটা রায়ার কাছে যেতে পারছে, কিন্তু মারণ বিষানুর ভয়ে মাদুরা পারছেনা,এই অপরাধবোধে মাদুরা সেখানেই ঘাসের উপর বসে পড়ল। পাখিটা ওখানেই ডানা ঝাপটে গা শুকাচ্ছিল, রায়া মুখ তুলে সেদিকে একবার তাকিয়ে উঠে বসল। যেন একটু ভুল করে ঘুমিয়ে পড়েছিল তেমনি সলজ্জ হাসি হেসে বলল,-সরি বেবি,আয়াম নট একাস্টমড উইদ র ওয়াইন।

-রায়া তোমার বুকে কোনো কষ্ট হচ্ছে না তো? এনি ট্রাবল ইন ব্রিদিঙ্গ?

-নেভার। নট এনি চান্স। তুমি ভয় পাচ্ছ কেন বেবি? আমার কিচ্ছু হয়নি। আমি ফাইন। পারফেক্ট। কামন লেটস এনজয়।

-রায়া উই নিড গ্লাস এণ্ড ওয়াটার।তুমি বোসো আমি এক্ষুনি নিয়ে আসছি।

কপালে বিনবিন করে ঘাম ঝরছে। মাথার হুড খুলে মুখ খুলে শ্বাস নিতে নিতে মাদুরা ওকগাছের দিকে গেল। খুব হালকা লাগছে। চারদিকটা এবার আবছা অন্ধকার হতে শুরু করেছে। তাঁবুর কাছ থেকে লুন পাখিটার ক্যাঁক ক্যাঁক আওয়াজ। রায়া নিশ্চয় ওকে কাছে টেনে নিয়ে আদর করছে। পাখিটা এইসময় যেন দেবদূত হয়ে এসেছে। রায়ার ওই মারাত্মক কাশি দেখে ভীষণ ভয় হচ্ছিল মাদুরার। পাখিটা পরিবেশ বদলে দিল। ওখানে ওকে একটু খাবার দিতে হবে। ব্যাগ খুলে গ্লাস জলের বোতল ও স্ন্যাকসের প্যাকেট নিয়ে রায়ার কাছে পৌছতেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলো মাদুরা। রায়া হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে। ও লুন পাখিটাকে ধরে ফেলেছে। বেশ বড়সড় আর ভারি। ও দু হাত দিয়ে গলাটা মোচড় দিচ্ছে। পাখিটার ঝটপটানিতে রায়া টলমল করছে। খোলা চুল,পৈশাচিক মুখ। মাদুরা মাথায় হুড নামিয়ে প্রায় দৌড়ে এসে জোর করে ছিনিয়ে নিতেই পাখিটা জলেপড়ে গেল। কিন্তু ওটা ঝটপট করতে করতে স্থির হয়ে ভেসে রইল। রায়া মুখ খুলে বিজয়ী হাসি হাসল। ওর খোলামুখে পশু দাঁত দেখে মাদুরার গা ঘিনঘিন করে উঠলো।

-ইটস ডান বেবি। আমি ওটাকে ধরতে যাইনি,নিজেই আমার কাছে এসেছিল। রাতের ডিলিশিয়াস রোস্টেড আইটেম নিজেই এসে গেল আমার হাতে। মাদুরার গা রাগে ঘৃনায় রি রি করে উঠল।খুব জোর চেচিয়ে উঠল,-রায়া,পুট অন ইওর মাস্ক। ইউ বিট্রেয়ার। ইউ ডিড আ ট্রেচারাস এক্ট। পাখিটা তোমাকে বিশ্বাস করে কাছে এসেছিল। কেন মারলে রায়া?

রায়া মুখ নিচু করে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে ধীর পায়ে তাঁবুর কাছে গিয়ে বসল।

–সরি ডার্লিং। ফরগিভ মি। ডোন্ট হেট মি প্লিজ।

মাদুরা মুখ ঘুরিয়ে রইল। রায়া শর্টস আর টপ পরে কুকড়ে বসে আছে। বাইরে বেশ ঠান্ডা। পিপিই জ্যাকেটের জন্য বোঝা যাচ্ছেনা। কিন্তু জ্যাকেট খোলার আগে ভালোকরে ডিসইনফেক্ট করা উচিত। মাদুরা একটু পিছিয়ে এসে কাঠগুলো সাজিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল। রায়ার সাথে লুন পাখিটার খাদ্য খাদকের সম্পর্ক। এটাতো স্বাভাবিক। অহেতুক সীন ক্রিয়েট। মাদুরা রায়ার কাছে গেল। –কাম অন রায়া। আগুন জ্বালিয়েছি, চল ওখানে গিয়ে বসি। বলেই মাদুরা পিছন ঘুরে জলে নেমে পড়ল। বরফ ঠান্ডা জল। মাস্ক পিপিই জ্যাকেট ভেদ করে হাড়ে ছুঁচ ঢোকার মত ঠান্ডা। ডুবকি লাগিয়ে মিনিট দুই জলের তলায় বসে রইল সে। দেশের বাড়ির পুকুরে অভ্যেস। উঠেই দেখে রায়া জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ভয়ার্ত গলায় ডাকছে, বেবি বেবি। পাড়ে উঠতে দেখে পায়ের কাছে মৃত লুনপাখি। মাদুরা ওটা তুলে আগুনের দিকে ছুঁড়ে দিল। -রায়া, টেক কেয়ার অফ ইট।

আকাশে তখন অগণিত তারা জ্বলজ্বল করছে। উত্তর দিগন্তের আকাশে নর্দার্ন লাইটের ফোয়ারা। ঝলকে ঝলকে আবীরের রঙ উথলে উঠছে আকাশে। পৃথিবীর উত্তর মেরু খুব খুব দূরে নয়। আগুনে কাঠগুলো একটু এগিয়ে দিয়ে একটা বোতল নিয়ে মাদুরা একটু দূরে সরে বসে বোতল খুলে মাথায় গায়ে হাতে পায়ে মাখতে লাগলো। একটু একটু করে গলায় ঢেলে তৃপ্তির হাঁক ছাড়ল। রায়া তখন গ্লাসে ওয়াইন জলের সাথে ব্লেণ্ড করে আগুনে মাংস পোড়াতে ব্যস্ত। মুখে হাসি ফিরে এসেছে। আগুনের লাল আভায় ওকে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। কিন্তু নাঃ। ওর সাথে বেশিক্ষন নয়। স্ন্যাকসের প্যাকেট খুলে ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে মাদুরা ধীরে ধীরে কোনো শব্দ না করে সেখান থেকে উঠে ওকগাছের দিকে চলে গেল।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।