• Uncategorized
  • 0

সমীপেষু

রাত গভীর হলে নিরাশারা চেপে ধরে পিঠ। একটু একটু করে চোঁয়ানো ঘাম মাটি আস্বাদন করে চলে অনাবিল আনন্দে। আসলে পাওনা রা এরকমই হয়। একপা দু পা করে চলতে চলতে চাঁদটা যখন ভর করে আকাশের মাথায় মাথা ঝিমঝিমিয়ে ওঠে আকাশের। “ওই নীল ওড়নার মেয়েটা আজ কেমন যেন হাসলো…”
– এই ভাবেই গল্পটা শুরু করেছিলাম। আকাশ আর চন্দ্রমার প্রেম। তারপর কী যে হলো মনে হলো প্রেম বড্ড বেমানান এই পরিস্থিতিতে তার থেকে বরং অভাব নিয়ে লিখি, মারামারি, সংসারের টানাপোড়েন এইসব আরকি। যেমন ভাবা তেমন কাজ শুরু করে দিলাম মিতু আর গোবিন্দ’র সংসার নিয়ে লিখতে। তাও ভালো লাগলো না। এবার তো পাতাটাই ছুঁড়ে ফেলে দিলাম একতলার বাগানে।
এইবার বসলাম ডায়েরি লিখতে। না না এখানে আমি ভাঁট হ্যাজাই’না। ভালো লাগা খারাপ লাগা গুলো লিখে রাখি।
আজ তারই কটা পাতা তোমাদের দেখাই…
২৪শে মে সোমবারঃ
সকাল ৫টায় উঠে স্নান সেরে পুজো। তারপর পড়ানো। তারপর আমার সারা সপ্তাহের হাতছানির ডাকে সারা দিয়ে হাটে যাওয়া, তারপর রান্না- খাওয়া -ঘুম। কিন্তু সন্ধেতে ঘটলো একটা হাস্যকর ঘটনা, রেশ চললো রাত ১১ঃ৩০ অবধি।
২৫শে মে মঙ্গলবার ঃ
nothing serious and nothing Important.
তবে এটা জেনে ভালো লাগলো এই বছর বেশ কিছু কলেজ স্টুডেন্ট Supply পরীক্ষাতে বসেছে supplementary এর বদলে।
২৬শে মে বুধবারঃ
আজ চন্দ্রগ্রহণ। সময় কাল বেলা ৩ঃ১৫ থেকে ৬ঃ২৭ ওবধি। সব কাজ কর্ম সেরে আজ অন্যকাজ বেশি করতে হবে।
২৭শে মে বৃহস্পতিবার ঃ
আজ তো দ্রুম বার। আজ শাক্য (শাল্যদানী) ব্যস্ত থাকবে অর্থাৎ উৎপাত করা বন্ধ। তবে আমি সারাদিন কী করবো?
বেশ কিছু রান্না করে ফেলবো। তারপর গুছিয়ে খেতে বসবো। তারপর দিবানিদ্রা আর তারও পর ছাদভ্রমণ। তবে রবিবারেরর জন্য লেখা চেয়ে নিতে হবে মনে করে। আর” রাজসিংহ ” টা শেষ করতে হবে। অনেক দিন হলো শুরু হয়েছে।
আজ আবার বৈঁচির বাড়িতে ঠাকুর বানাতে আসবে। পুজো তো চলেই এলো প্রায়।
২৮শে মে শুক্রবার ঃ
আজ হাটে যেতে হবে। সব্জির হাট। সবাই বলে হাটে কেন যাই। ওরা জানে না হাট আসলে একটা মিলনস্থল। আমার উপবোগ্য যায়গা। বড়ো ভালো লাগে দরদাম, বিভিন্ন সুরের আনাগোনা, ডাক, সব্জির অবস্থা এইসব। আমি ওখানে রসদ খুঁজি যাপনের।
২৯শে মে শনিবারঃ
আজ উঠেছি দেরীতে। মানে সবকাজই দেরি করে হবে। বাজার এখন বন্ধ তাই প্রশ্নই ওঠেনা ওদিকে পা’ দেওয়ার। তবে যাই রান্নাতে এক্সপেরিমেন্ট করি। যো হোগা দেখা যায়েগা। জয় মা অন্নপূর্ণেশ্বরী। জয় গুরুভগবান।
তবে সময় করে কালকের জন্য সব গুছিয়ে দিতে হবে। কাল তো জোন বার।
– এই ছিলো আমার দিনলিপি। খোলা ডায়েরি রাখলাম তোমাদের জন্য। এখন থেকে তোমরাও আমার সাথে সরাসরি যে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারো। প্রশ্ন করতে পারো যে কোনো। সাহিত্য জোনে আসছে “চিঠিপত্তর” বিভাগ। তোমরা প্রশ্ন করবে মেলের মাধ্যমে, নাম, বয়স ও পেশা উল্লেখ করে। আমি প্রয়োজন মতো মনোবিদদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানাবো উত্তর। চাইলে নামও গোপন রাখতে পারো।
এই ছিলো আজকের নিবেদনে। মাস্ক ছাড়া, বাড়িতে বসেই পড়তে থাকো টেক টাচ টক্, সাহিত্য জোন।
সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।