একটা একটা করে দিন চলে গেলে আমরা আচ্ছন্ন হই মাদকতায়। নতুনের খোঁজ। আরও নতুনের খোঁজ। মুখে বলি আমরা আপডেটেড। আমরা মুক্ত মনের অধিকারি। তবে এমন মুক্ততা মাঝে মাঝেই অন্যের অনেক কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় আর আমরা ভুগি বিশ্ব জয়ের আনন্দে – ” আমিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর”। আসলে এরকম ভাবনাচিন্তা নিয়ে রোজ আমাদের হয়তো দাঁড়াতে হয় না আয়নার সামনে বা আয়নাগুলো শুধু কিছু বাজারি রূপচর্চার মুখোশ পরার জন্যই ব্যবহৃত হয় আমাদের বাড়িতে।
নিজেদের শক্তিশালী মনে করাটা পাপের নয়, তেমনই পাপের নয় নিজের ভালো থাকা প্রয়োজন মেটানো টা।
পাপ তো তখন হয় যখন নিজেকে ভালো সাজাতে গিয়ে সেই একই দোষ কেউ করে যেটা নিয়ে সে নিজেকে ভিক্টিম প্রমান করার চেষ্টা করে।
আজ আমি একটু ভাড়ি কথাই বলছি হয়তো।, কিন্তু এগুলো বলা প্রয়োজন। না, পাপ পূন্যের বিচার করা আমার দায় নয়, যেমন নয় ঠিক ভুল বিচার করা তবে এমন ঘটনা ঘটে যার আগাপাশতলা শুনে মনে হয় কোন ভারতবর্ষের স্বপ্নে হাজার হাজার মানুষ তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেছেন!
এ কোন নারীবাদী যেখানে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য বাদ দিতে একজন নারীর সম্ভ্রম!
এ কোন ভারতীয় সমাজ যেখানে বিবাহিতাদের সিঁদুর পরা “ব্যাকডেটেড”! এ কোন সমাজ যেখানে অকারনে বিচার বিবেচনা না করে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন বাসে ঝুলে অফিস যাওয়া কোনো যুবককে!
এ কোন সমাজ যেখানে মা বাবা কে থাকতে হয় বাড়ির গুদামঘরে বা বৃদ্ধাশ্রমে!
আরও অনেককিছু হয় যা শুধু মাত্র একটা প্রবাদবাক্যে এসে দাঁড়ায়-
” নিজের বেলা আঁটিশুঁটি আর পরের বেলা দাঁতকপাটি” তাই কথাই বলার অন্যের বিচার করার আগে নিজের কাঠগড়ায় অন্তত একবার দাঁড়াও আর জিজ্ঞেস করো তুমি এমন কোনো কাজ করোনি তো যাতে করে তোমার সামনের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মানুষটি শাস্তির পর তোমাকেই কয়েনের উল্টোপিঠ মনে করে হাসে।
ভাবো, ভাবো, ভাবা প্রাকটিস করো আর পড়তে থাকো সাহিত্য ZONE।