তিনরঙা ঘুড়িগুলো আজ আর উড়ছেনা। না কোনো যুদ্ধ বিমানে ওদের সংঘর্ষ হয়নি, আকাশটা মেঘলা আজ দুদিন থেকে।সেই কবে থেকে একটু একটু করে রং জমিয়ে সাদা ঘুড়ি গুলোতে ওরা সুতো বেঁধে ছিল। বেঁধেছিল খরকুটো, দুটো বাঁশের বাখারি আর রংবেরঙের সুতো। রঙের তো কোন বাউন্ডারি হয় না – যেমন হয় না ওদের অনাবিল ইচ্ছেগুলোর।
যুদ্ধবিমান থেকে এক্ষুনি তিন রং নিয়ে আকাশ রাঙিয়ে দিল সবুজ সাদা গেরুয়ায়। পৃথিবীটা হয়ে উঠল তিনরঙা। আকাশটা যেন সমস্ত রং মুছে ফেলে সাদা করে রেখেছিল এই রং গুলোর জন্যই। সাদা তো আসলে সব রঙের মিশ্রণ লাল -নীল- সবুজ- হলুদ সব।
বৃষ্টি থেমেছে এইমাত্র। এইমাত্র আকাশটা আবার ঝলমল করে উঠেছে সোনালী রোদ্দুরে। রোদ্দুরের কোন সীমারেখা হয়? হয় কোনো কাঁটাতার? এ ভাগ ও ভাগ মিলিয়ে এক ভাগ হয়তো একই ভাগ।
সোনালী আলোটা পিছলে গেল হিমালয়ের সাদা বরফে। ওই তো দেখা যাচ্ছে ভারতের সীমারেখা-… আলোগুলো পিছলে পড়ছে যেন গলন্ত সোনা আর তার মাথায় বাতাসের সাথে মিশে যাচ্ছে তেরঙা পতাকা সবুজ সাদা গেরুয়া।
আজ 15 ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা যায় কতটা স্বাধীন হলে সেই বিতর্কে না গিয়ে আমরা বরং ঘুড়ি ওড়াই। ঘুড়ির নেই কোনো দেশ ভাগের বিড়ম্বনা, কোনো সীমারেখার পিছুটান, কোনো অধীনতার টানাপোড়েন। আমরা বরং ঘুড়ি হই অখন্ড ভারতের স্বপ্নে, যে ভারতে তুমি থাকবে আমি থাকবো আর থাকবে আমরা। জাতিভেদ, পোশাকভেদ,বর্ণভেদ সব ভেঙে আমরা ভারতীয়। স্বাধীন ভারতের জনগণ।
জয় হিন্দ।
বন্দেমাতরম।