সমীপেষু

সিংহদুয়ার

আমি খুঁজছিলাম একটা রাস্তা। রাস্তার শেষে দেখি একটা সিংহদুয়ার। শুধু দরজাটা চিনি সিংহদুয়ার বলে। ওটার ওপর দুটো সিংহ হাঁ করে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে যেন প্রথম দেখা প্রেম। প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে প্রেম কে অসম্মান করা হয়,আফটার অল প্রেম বলে কথা। আমি প্রায়ই যেতাম। শুধু দেখা হতো না ভেতরটুকুই। শ্যাওড়া গাছ গুলোর অনেক দিনের গল্প আছে অন্যদের মতো। দরজার ঠিক সামনেই আমার প্রিয় একটা চায়ের দোকান। দোকানী আমাকে চেনেন ভালোমতো। দোকানের চায়ের ভাঁড়ে কেমন যেন একটা মাধুর্য মাধুর্য ছিল সেইসময়। চা খাবার মধুময় সময়টা চাইতাম যেন শেষ না হয়। কিন্তু একটু এগিয়েই টিউশনে অপেক্ষা করছেন কোন এক শিক্ষক শেখাবেন বলে। শেখাবেন।
প্রকৃতি আমায় শিখিয়েছে ধারাপাতের বর্ণদের যেমন প্রথম সূর্যের কিরণ খাটের ওপর এসে পড়লে পর্দাগুলোকে মনে হয় বড় বেইমান। আরেকটু আটকে রাখা যেত আলোটা। এমন বেইমানি আমি বহুদিন করিনি। এমন বেইমানি আমি কোনদিনই করতে পারিনি। তোমরা বলবে বড্ড কাঠখোট্টা। রসে না ভিজলে সাহিত্য চর্চা হয় না। আমি বলি কাঠ থেকে রস বার করতে তোমার জানা আছে তো! নাকি জানা নেই হাওয়ায় কথা ছোঁড়ার মতো। যেমন আমিও ছুঁড়তাম ছোটবেলায়।কথা নয় এয়ারগান। মেলা থেকে কিনেছিলাম। মেলা বলতে- বলতে পারো কবিতা, গদ্য, কাব্য, গান, নাচ, স্ক্রিপ্ট, স্পটলাইট, মিউজিক, আরো কতকিছু। ছুঁড়েই গেলাম বেসামাল তালকাটা নাবিকের মতো।শুধু কখন চুরি হয়ে গেল আমিটা, কেউ খুঁজে দিতে পারল না
সবকিছুর পর আজ সমীপেষু লেখা।লিখতে গিয়ে কেমন যেন তাল পাকিয়ে যাচ্ছে পেত্রাক – অস্ত্রভস্কি – স্তালিন, – রবীন্দ্রনাথ – সুকুমার- নজরুল সব।পর্যাপ্ত মনে হচ্ছেনা শব্দ ভান্ডার। কর লিখি বলোতো! থাক এটুকুই থাক। আমি স্বেচ্ছাচারী নই। তবে হবো না এমন কথা দিইনি।প্রতিশ্রুতি বলে একটা শব্দ শব্দভান্ডারে থেকে গেছে, শুধু সঠিক মানেটা এখনও বোঝা হয়নি আমার। অবশ্য খুব একটা চাই তা নয়। যাই হোক নতুন বছরে নতুন আশা আরো নতুন নতুন কিছু জানা, যেন চির সবুজ হয়ে থাকে। যেন ঈশ্বর ময় হয়ে থাকে। শুভকামনা তোমাকে। আমাকেও।

সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।