সমীপেষু

ব্যাঙ

একবার একটা গল্প শুনেছিলাম, অবশ্য সত্যতা যাচাই করিনি কখনও। গল্পটা এরকম ছিলো যে একবার একটা কড়াইতে বেশ কিছুটা জল দিয়ে জলটা ফোটাতে শুরু করা হল আর সাথে এই কড়াইটার মধ্যে একটা ব্যাঙ ছেড়ে দেওয়া হলো। জলের উষ্ণতা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাঙটাও উষ্ণতার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে দেহের উত্তাপ বাড়াতে লাগলো। একসময় যখন জলের উষ্ণতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলো ব্যাঙটা লাফিয়ে কড়াইয়ের বাইরে আসার চেষ্টা করলো কিন্তু ততক্ষণে তার সমস্ত শক্তি দেহের উত্তাপ বাড়াতে ক্ষয় হয়ে গেছে তাই ব্যাঙটা মারা গেলো। অতএব সহ্য ততটাই করা উচিত যতটা করা যায়।
এই ছিলো গল্পটা। কিন্তু এখন কথা হলো এমন গল্প রবিবারের বাজারে আমি কেন ফেঁদে বসলাম!
না, কারণ কিছুই তবে কিছু এমন লোকজন আছেন তাঁদের কার্যক্রম বেশ মজা দেয়। জীবনে মজাটাও থাকা উচিত অবশ্যই তাই বেশ উপভোগ করি এদের চাটুকারিতা মানে পাতি বাংলাতে যাকে তেল দেওয়া আর স্ট্যান্ডার্ড বাংলাতে যাকে বাটার লাগানো বলে।
এদের জন্যই এই গল্পটা শোনালাম যাতে ব্যাঙের উষ্ণতা আর জলের উষ্ণতার তফাতটা বোঝার চেষ্টাটুকু অন্তত এরা করেন।

যাই হোক, আজ থেকে সৌমজিতা লিখবে গান নিয়ে। ওর এই প্রথম কোনো ম্যাগাজিনে লেখা। ওকে আশীর্বাদ করো তোমরা,যেন ওর গানের প্রতি এমন অনুরাগ সর্বদা ওর অনুভবে থাকে।
বাকিটা পড়তে থাকো, আমি আবার আসছি রবিবারে…

সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।