সম্পাদকীয়

সান্তা আসুক না আসুক, আজ আনন্দ- হৈচৈ, কচি-কাঁচা, ভীষণ মজা

এ আবার কেমন কথা? এটা কি ঠিক হলো? ভুতুম চোখ পাকিয়ে আমায় জিজ্ঞেস করলো, ভুতুম আমার পাশের বাড়ির একটা ছোট্ট বাচ্চা, সান্তা আসুক না আসুক, এটা কেন লিখতে গেলে? ভুতুম মহা খাপ্পা আমার উপর। সে গাল ফুলিয়ে, চোখ পাকিয়ে আপাদমস্তক আমাকে দেখে নিয়ে নিজের মোজাটা নিয়ে পোঁ করে এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেলো। তারপর পাঁচ মিনিট পরেই আঁকার খাতা, ক্লিপবোর্ড, রং পেন্সিল, দুয়েকটা গল্পের বই কোথা থেকে একটা ব্যাগে করে নিয়ে আমার পাশে এসে বসলো।বললো তাহলে এক কাজ করো, সান্তা যখন নেই, আর তুমি বলছো আসুক না আসুক, তাহলে যে কোনোভাবে ম্যাজিক করে নিয়ে এসো…
তারপর?
তারপর ম্যাজিক শুরু হলো এক এক করে। সেই বাংলাদেশ থেকে উপন্যাস নিয়ে ম্যাজিক করতে চলে এলেন আবুল কালাম আজাদ, কিশোরবেলার দুষ্টুমি, পাগলামি, দামাল কচিগুলোর জন্যে আরণ্যক বসু উপহার নিয়ে এলেন রূপকথা পৃথিবীর, নব্বইয়ের দশকে ছানাপোনাদের স্বাস্থসম্পদ আর নব্বইয়ের আরো নস্টালজিয়া নিয়ে হাজির ঊশ্রী মুখোপাধ্যায়, ইয়াবড় একটা ঝোলা থেকে বড়দিনের গল্প বের করতে থাকলো একে একে মৌর্য্যবাবু, আমাদের সোনালীদি, তারপর রাজশ্রীদি আর গোরস্থানের গা-ছমছমে গল্প নিয়ে সুরপ্রিয়াদি।
ভুতুম তো খুব খুশি, আহ্লাদে আটখানা হয়ে সে তখন বলছে, ‘এই তো, বড়দিন জমজমাট’। আর কি আছে তাড়াতাড়ি বলো! আরে দাঁড়া দাঁড়া, খুব তো হাঁউমাঁউ করতে করতে বাড়ি চলে যাচ্ছিলি, দেখ এইবার সান্তা আর কি কি এনেছে।
ছোটদের জন্যে কবিতায় একরাশ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানালেন পার্থসারথি চক্রবর্তী দাদা, সান্তাদাদুর স্লেজগাড়ি আর ২৪শে ডিসেম্বর উপহার দিতে আসা সেই দাড়িবুড়োর গপ্পো নিয়ে হাজির গৌতম বাড়ই দাদা, আর তারপরেও, আরো কয়েকটা রঙিন বেলুন এসে হাজির।
ভুতুম এক এক করে গোনা শুরু করলো, আরে একি? অভিষিক্তা, রূপম, অর্জুন, তোশানী, সন্নিভ, জিষ্ণু, সোহালিয়া-সবকটা খুদে বন্ধু রং-বং-চং নিয়ে এসে হাজির। ভুতুমের এখন ভীষণ তাড়া-সে বড়দিনের সাহিত্য হৈচৈ পর্ব পড়তে শুরু করে দিয়েছে এক্ষুণি। তোমরাও আর দেরি কোরোনা, মেতে ওঠো রঙের উৎসবে, তোমাদের লেখা, আঁকা, দুষ্টুমি, অনেক মজা, অনেক ছোটবেলার গল্প নিয়ে আমরা আজ হাজির হৈচৈ-এ।
আজকে শুধুই বড়দিনের হৈচৈ- সারাদিন! মেরি খ্রীষ্টমাস!

শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!