ক্যাফে কাব্যে সুজিত চট্টোপাধ্যায়

একটা নীরার জন্য
শুধু একটা নীরার প্রয়োজন ছিলো,
আর কোথাও কি কিছুই পড়েছিলো কম?
একটা লেখার টেবিল, ঝর্না কলম,
দিস্তা খানেক সাদাকাগজ, কালো কফি,
ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা দেশী বিদেশী বই এলোমেলো
পরিপাটি পরিবেশ একটা ” সুনীল ” হবার।
কিন্তু নীরা আসেনি, কল্কা পাড়ের হাল্কা সাদা শাড়ী,
লম্বা হাতা ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট কাজল টিপ,
বুকে চেপে ধরা ক্লাসনোটের খাতা…
বড়ো বেশী প্রয়োজন ছিলো।
শুধু একটা নীরার জন্য সুনীল হওয়া হোলো না।
একটা নীলাঞ্জনা চাওয়া কি খুব বেশী চাওয়া ছিলো
একটা নচিকেতা হতে?
পারতো না বুকের কাছে এসে দাঁড়াতে;
নাহয় কিছুটা দূরে থেকে
ব্যালকনির খিলানের পাশে,
অথবা খোলা জানলায়
নিতান্ত অনিচ্ছায়, অবহেলায়,
কিছু মিথ্যে ভ্রুকুটি, কিছু মিথ্যে আশ্বাসে…
কতো শত জীবনমুখী গানে,
ভরে যেতো সুরের ভুবন সরল বিন্যাসে।
একটা অনির্বাণ এভাবেই শেষ হয়ে গ্যালো
যা কিছু অনুসঙ্গ… সদ্য শেখা গালাগালি,
মাতাল পদক্ষেপ, জীবনের আঙিনায়
রয়ে গ্যালো সব মিছিমিছি , কিছু বোবা হাততালি।
একটা নীলাঞ্জনা বড়ো বেশী প্রয়োজন ছিলো, একটা নচিকেতা হতে।
হেলেন নয়, ক্লিওপেট্রা নয় ,
শুধু একটা নীরা কিংবা নীলাঞ্জনা
হয়ে এসো। অঙ্গীকার এ আমার…
বিনিময়ে দিয়ে যাবো এক আকাশ কবিতা,
বিনিময়ে শুনিয়ে যাবো এক সাগর জীবনমুখী গান।