সম্পূর্ণতা আসে নি দরজায়, তবু
আর কোন অস্হির প্রার্থনা নেই,
মানুষের ক্লান্তিকর নিশ্বাস, মানুষের উপর বিশ্বাস,
সবকিছুই বড় ক্লান্তিকর, বিষাক্ত!
আজ ফের তোমার কাছে ফিরে আসি!
দীর্ঘ কিছু ডালপালার ছায়া, এখানে ঝুঁকে আছে, পাতাবিহীন
শিকড়ে অজ্ঞাতবাস, আমার সাথে সেই তোমার !
একটা মানুষের প্রলাপে ,
আরো কত সহস্র হাহাকার, সবই আছে, আছে আমাদেরও কিছু নিজস্ব সংলাপ!
মনে মনে সারাদিন, মনের সাথেই তোমার কথা ,
গভীর কোন স্রোতে ভেসে আসে,
মারোয়া বেহাগেরও নির্জন ব্যথা!
একটা জীবন, কয়েক বছর, তবু;
যে পেয়েছে, যাকে পেয়েছে অথবা পায়নি আজও,
অকাল বিসর্জনের সাথে ঠিকই
পেয়ে যাবে তোমার কাঙ্খিত যত স্বপ্ন!
সহজাত আজ যা কিছু, হাহাকারে মিশে বাতাসে, আমরাও অন্ধ,
ভালো করে দেখো খুঁজে,
বারুদ বাতাসে মিশে লাশের গন্ধ!
সিন্ধুসারস
কানে এক অসীম কোন শব্দ তরঙ্গের মতো পৌঁছে যায় ।
একটা গভীর সুড়ঙ্গ, সমুদ্র থেকে সে শব্দ উঠে আসছে, কানের কাছে, তার মধ্যেই কেউ তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমি মাঝপথে হারিয়ে ফেলছি তাকে।
ভালোবাসি, তাই খুঁজে চলি।
আমায় শান্ত হতে দাও, না হয় সমুদ্রের গর্জনের মত ভয়ঙ্কর।
ভয়াবহ প্লাবনে ভেসে যেতে দাও, নয় ধীর গতিতে এলোমেলো পায়ে নরম চাঁদের সাথে এগিয়ে যেতে দাও।
বামহাতের দিকে, বন্ধ্যা বালির ওপর দিয়ে একটা সিন্ধুসারস উড়ে যাচ্ছে, মিলিয়ে যাচ্ছি আমি তার সাথে।
তার ফেনিল পালক যেন তাজা বাতাসের তীব্রতা নিয়ে আমার মুখে আছড়ে পড়ছে ।
দুহাত ছড়িয়ে আমি জড়িয়ে ধরি সে তীব্র অনুরাগ!
ঠিক সেখানেই শুরু আবার,
শেষ যেখানে হয়েছিল,
গলে যায় রাত ধীরে ধীরে,
দূরে পাহাড়ে যখন আধো আঁধার,
তুমি নও,
অন্য কেউ এসেছিল!