সম্পাদকীয়

ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে

আগের দিনই বলেছিলাম, কিছু কিছু ছোট্ট বন্ধুরা বেশ কিছু বেড়াতে যাবার জায়গার হদিশ জানতে চাইছে, পুজোর ছুটিই হোক, কিংবা লকডাউনের ছুটিই হোক, অথবা শীতকালের এক টুকরো সোনালী রোদ ধরে হোক, তারা সবসময় রাজি বাবা-মাকে রাজি করিয়ে ঘুরতে যেতে। তাই এই প্যাচপ্যাচে গরমের মধ্যেই একটুখানি কার্সিয়ঙের মেঘ তুলে আনলাম।
কার্সিয়ঙকে বলা হয় হোয়াইট অর্কিড বা সাদা অর্কিডের জায়গা।এটি দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত। ছোট ছোট পাহাড়, পাহাড়ি জনজীবন, চা-বাগান আর সাপের মতো আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে তোমাদের মতো ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যখন পিঠে লাল-নীল ব্যাগ ঝুলিয়ে ইশকুল যায়, কিনকিংবা তোমার সাথে এগিয়ে এসে বন্ধুত্ত্ব করে, তখন দেখবে কি দারুন একটা অনুভূতি হয়।
নিউজল্পাইগুড়ি স্টেশন অথবা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে একটি ভাড়া গাড়ি বা জীপ্ নিয়ে সোজা চলে যাওয়া যায় কার্সিয়ঙ। সেখানে তিনদিন থেকে সেখান থেকে দার্জিলিং, ঘুম, সোনাদা হয়ে ঘুরে আসা যায় পাহাড়ের বেশ কিছু নামী-অনামি জায়গা। চা-বাগান তো আছেই, তার সাথে আম্বতিয়া শিব মন্দির, ঈগল’স ক্রেইগ, মিউজিয়াম, ডিয়ার পার্ক, চার্চ এবং বুদ্ধ গুমফা এবং মনাস্ট্রি যা তোমাদের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেবে। পেঁজা তুলোর মতো শরৎকালের মেঘ, শীতকালের কাঁপুনি-দেওয়া সকাল আর গরম দার্জিলিং চায়ে চুমুক-একটা স্বপ্নের মতো ছুটি কাটানোর হদিশ রইলো তোমাদের জন্যে। আর তার সাথে তো আছেই- বিখ্যাত পাহাড়ি মোমো, ঝাল ঝাল সস, আর ক্যামেরায় ধরে রাখার জন্য নানান নয়নাভিরাম পাহাড়ি দৃশ্য। তাহলে আর দেরি কেন? ব্যাগ গুছিয়ে নাও, বাবা মায়ের সাথে হয়ে যাক কার্সিয়ঙ টুর।
ছোটরা, এবং বড়রাও যারা ছোটদের জন্যে লিখতে, আঁকতে, হৈচৈ করতে চাও, তারা শনিবারের সাহিত্য হৈচৈ বিভাগের জন্যে লেখা, আঁকা, পাঠিয়ে দাও এই মেইল আইডি তে: sreesup@gmail.com /  techtouchtalk@gmail.com
পড়তে থাকো, সাহিত্য নিয়ে হৈচৈ করার জন্যে টুক করে ক্লিক করে দাও
www.techtouchtalk.in
শ্রীতন্বী চক্রবর্তী
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!