এক দীপজ্বলা সন্ধ্যায়
নিয়েছিলাম শপথ মনের আঙিনায়,
যদিও ছিল না হাতে রাখা হাত,
শুধু মনই ছিল ভালোবাসার স্বার্থকতায়।
সমান্তরাল দুটি পথ
মেলেনি কখনো এক হয়ে,
শুধুই মনের মিলে
চলেছিলাম দিগন্ত পেরিয়ে।
মেনেছিলাম সকল বাধা নিষেধ,
জীবনের নিজস্ব গতিপথ,
তাই তো কেবল মনকে সঙ্গী করে
বেছেছিলাম সমান্তরাল পথ।
তবুও কবে পথটা গেল বেঁকে
জীবনের জটিল গোলকধাঁধায়,
তবু মনের শপথ রয়েছে আজো মনে,
জীবন যদিও চলেনি সরলরেখায়!
রাতের শেষে শুকতারা ঐ হাসে,
সুখপাখিটা খাঁচায় বন্দী আজও,
মেঘ জোৎস্নার লুকোচুরি খেলায়
“সংসারের সঙ কেন তুমি সাজো?”
এমনই মনের হাজারো প্রশ্নের ভিড়ে,
অনেকটা পথ হয়েছে পেরোনো।
জীবন রেখেছে নানান জটিল ধাঁধা,
সব সমাধান পাইনি এখনো।
দিগন্তরেখায় আজো সূর্য ওঠে,
রাঙা লাজে মেলে ফের দিগন্তেই।
মনের ঘরেও লাগে সেই রক্তিমাভা,
তবু ধূসরতার প্রলেপ মোছে না দিনান্তে!
প্রতি সন্ধ্যায়ই সাঁঝের প্রদীপ জ্বালি,
তবু ঘরের আলো ছড়ায় না আর মনেতে।
মনের প্রদীপ বুঝি বা গেছে নিভে,
সেই দীপজ্বলা সন্ধ্যার ক্ষণেতেই।।