সেখানে মাটির কি যে নাম ?
সেখানে ছড়ানো এতো আলো ?
ভেজানোর এতো সুবাতাস ?
রাতগুলি এতো ভালোবাসে !
তবু যায় মেঘেদের সাথে
চলে যায় দূর দূর দেশে I
২| কুলকুণ্ডলিনী
কাল কি যাবো
আজকে না
ভিতরে জমে কান্না
রক্ত খায় সরীসৃপ
নিভছে ঘরে একটি দীপ
কাল যাবো না
আজও না
থাকবে রাত একলা
গলির মাথায় হায়না
বলবে এসে আর না
সেই ভালো তার
একলা ঘর
নিভিয়ে দিয়ে কল্পনা
কাল যাবো না
আজও না
গল্প নয় স্বান্ত্বনা
উঠোন জুড়ে
সরীসৃপ
দাঁত এবং দেখায়
জিভ
কালকে না
আজও না
কোন কথাই রাখবো না
নিভছে ঘরে একলা দীপ I
৩| মা নিষাদ
ঝরে গেছে প্রতিটি বল্মিক
রত্নাকর নামে ডাকো আজ
ঝর্ণার জলে গেছি
রোদে ঝড়ে আদিগন্ত মাঠে
পাহাড় চূড়ায় পাপ
জলে স্থলে অন্তরীক্ষে পাপ
আহরিত করেছি কেবল
কোন আর নাম নেই তাই
দিনে দিনে বিখন্ড করেছি পরাজয় ,
প্রভু তার এই টুকু জয়
প্রভু তার এই টুকু ভয়
দাঁড়ানোর জায়গা কোই
কেবল ভ্রু ভঙ্গের ভুল
আর মাঠে একক রাখাল ,
সমস্ত যে ভার ছিলো
এখন একক পরাজয় —
রত্নাকর নামে ডাকো
যদি লিখি নব কথামালা
তার কিছু বেশি নয়
মাঠে মাঠে ঝরে যায় ফুল
নক্ষত্রমালার রাতে নেমে আসে
নিঃস্বাশের মতোন বাতাস I
ঝরে গেছে প্রতিটি সকাল
লেখা থাক পাতায় পাতায় ,
রত্নাকর নামে ডাকো আজ I