T3 || ঈদ স্পেশালে || লিখেছেন স্বপঞ্জয় চৌধুরী

১| সুখবৃক্ষ দুখবৃক্ষ

মিথাইল ভেদ করে আলগোছা পৃথিবীর
নরম মাংসমাটিতে বৃক্ষের আনাগোনা,
বৃক্ষকে সুখী মনে হয় অনেক,
তাই তার ডালে বসে বসে কাঁদে
শেষ রাতের লক্ষী-প্যাঁচা;
বাসক পাতার ডালে সুতলি বেধে পুজো হয়।
রঙনীতি সংস্কার ও কুসংস্কার হয়
বৃক্ষকে দূর থেকে দেখি
আজন্ম মাতৃসুলভ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে,
তাকে কখনো হাহাকার করতে দেখিনি।
বৃক্ষ কি রক্ত ছড়ায়, তার কী ডানা আছে
সহসা সে পাখির মতো একে একে পৃথিবী ছেড়ে
চলে যায় শূন্যে কিংবা পাতালে।
তারজন্যে কাঁদবে কী নদীতট,
কাঁদবে অসীম দিগন্ত, কাঁদবে কী পৃথিবী।
মাতৃহারা শিশুটির মতো চুপচাপ চেয়ে রবো
মৃতবৃক্ষের গোড়ায়। তাকে ভালোবাসা দাও
ভালোবাসাই বৃক্ষের অক্সিজেন,
বৃক্ষকে আজকাল অনেক দুখী মনে হয়
তাই নিঝুম রাত্তিরে বৃক্ষের গলা ধরে কাঁদি
বৃক্ষ কি গাইতে পারে, তার পত্রপল্লবের সুরে
খোদা গান গায়, জগদীশ চন্দ্র বসু দেখো
বৃক্ষ কাঁদে তোমার নাম যপে
তোমার যন্ত্র দিয়ে বৃক্ষের কান্না মাপো আজ।

২| বায়ুঝড়

হো হো শব্দে প্রদক্ষিত হচ্ছে ঘূর্ণি বায়ু।
গরুর শিংয়ে লেগে আছে রাবারের কস
ঘড়ির কাটা হাত দিয়ে ঘোড়ালে সময় বাড়ে বুঝি
পুঁজিবাদকে ধর্ষণ করছে তারছেড়া মার্কসবাদী হাবুল,
গয়নার বাক্সে লুকানো পরাজিত ম্যাপ
মৃত মৃত মরা মরা দুপুরগুলো অমৃত আম্রপালির ঘ্রাণে
সাম্বানৃত্যে মশগুল, ওহে হাবুল ভ্রমর হইয়া আসো
দিঘীটার পাড়ে নগ্নচটখানা খুলে ইরানী মাটি দিয়া নাহিয়া ওঠো,
তোমাকে শুকরছানা হইয়া আর গোৎ গোৎ করতে হবেনা।
ভাত ছিটাইলে পাগলের অভাব হবে না।
পেটের ভিতর জিওল মাছের নাচ,
হাবুলের দাতের ফাঁকে কাচা মরিচের ঘসাঘসি
পকেটে তার আল্গোছা করে গুছানো আছে রকমারি ডট কম,
সাত সকালে অর্ডার এলো নদীতে ঝাপ দিতে হবে,
জ্ঞানপাপী বোয়ালিনী জানতে চায়
মৎসপুরানে বোয়াল মৎসের ভূমিকা,
কতখানি হা করিয়া হা হা চিত্তে ছোট মাছ গেলা যায়।
কত মাছ গেলো বোয়ালের পেটে
কত সময় রাঙা হলো গরুর শিং এ
হাবুলের পকেটে রকমারি ডট কম এথা ওথা থেকে
ফরমায়েশ আসে, তাই কখনো নদীতে,
বটবৃক্ষের ভুতপাড়ায় আবার কখনোবা
এই মানুষপল্লীর জীর্ণ ভোগের কক্ষে।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!