এই সপ্তাহে হৈচৈতে লেখার আগে, স্বপ্ন নিয়ে, এবং বিশেষ করে যাদের বয়স এক থেকে পাঁচ, এবং ছয় থেকে দশ, সেই কচিকাঁচাগুলোর স্বপ্ন নিয়ে বেশ কিছু মজাদার তথ্য পড়ছিলাম, সম্পাদকীয়তে সেই কয়েকটিই তুলে দিলাম।
১. যখন কোনও শিশু ঘুমায়, তার চারপাশের উদ্দীপনা এবং শব্দগুলি তার স্বপ্নে সংযুক্ত করা হয়। এটি ড্রিম ইনকর্পোরেশন নামে পরিচিত।
২. বাচ্চাদের স্বপ্নগুলি বড়দের চেয়ে ছোট আর বাচ্চাদের কাছে তাদের অনেক স্বপ্ন (প্রায় ৪০%) দুঃস্বপ্ন। কেন? বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে শিশুদের জন্য, তাদের স্বপ্নগুলি কোনোকিছু মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া হিসাবে কাজ করে।
৩. কিছু লোকের জন্য স্বপ্ন একটি ডিভাইস বা যন্ত্র হিসাবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ উইলিয়াম শেক্সপিয়ার তার স্বপ্নগুলির মাধ্যমে নতুন চরিত্র তৈরি করার পাশাপাশি তাঁর গল্পের প্লটগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবহার করেছিলেন।
৪. গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে একবার যদি ঘুমের আর.ই. এম বা র্যাপিড আই মুভমেন্ট পর্বে কোনও ব্যক্তি তার স্বপ্ন থেকে জাগ্রত হয়, তা হতাশায়, বিরক্তিতে এবং অবশেষে সাইকোসিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৫. বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় 40% লোকেরা স্লিপ প্যারালাইসিস নামটির সাথে পরিচিত। এটি প্রকৃতপক্ষে এমন একটি ঘটনা যেখানে কোনও ব্যক্তি স্বপ্ন থেকে জেগে ও পার্শ্ববর্তী স্থানটি চিনতে পারলে প্রায় এক মিনিটের জন্য চলাফেরা করতে ব্যর্থ হয়।
৬. জনগণের অবমাননা, পতন, উড়ান এবং অপ্রতিরোধ্যতা এমন কিছু সাধারণ স্বপ্ন যা বিশ্বের আর্থ-সামাজিক শ্রেণি ও সংস্কৃতিতে পাওয়া যায় এবং এই স্বপ্নগুলি মানুষের উদ্বেগগুলির প্রত্যক্ষ ফলাফল বলে বিবেচনা করা যেতে পারে!
৭. যখন একজন সাধারণ ব্যক্তি স্বপ্ন থেকে জেগে থাকে, তখন সে ঘুম থেকে ওঠার 5 মিনিটের মধ্যে স্বপ্নের প্রায় 50% ভুলে যায়। স্বপ্নগুলির প্রায় 90% 10 মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে যায়।
৮. আমাদের স্বপ্নগুলিতে আমরা যে কোনও মানুষের মুখ দেখতে পাই তা হল বা সত্যিকারের ব্যক্তি যা আমরা আমাদের জীবনে কমপক্ষে একবার দেখেছি। মস্তিষ্ক ব্যক্তির একটি চাক্ষুষ চিত্র রাখে যদিও আমরা সেই ব্যক্তিকে মনে না রাখি। জীবনে কখনও কখনও কোনও ব্যক্তির মুখ দেখিনি এরকম হতেও পারে!
শনিবারের সাহিত্য হৈচৈ-তে যদিও আমরা ড্রিম এনালাইসিস নিয়ে হয়তো বসবোনা কিন্ত তোমাদের ছোট ছোট স্বপ্ন,আঁকা, লেখা, ভালোলাগা, সবকিছু নিয়েই আমরা প্রত্যেক শনিবারে হাজির হবো হৈচৈ-তে। আর হ্যাঁ,সামনের শনিবার তোমরা অবশ্যই সরস্বতী পুজোর লেখা,আঁকা পাঠিয়ে দাও। মেইল করো: