জীবন এবং অনুপ্রেরণা – পর্ব ৩

এ. পি. জে আবদুল কালাম

এ.পি.জে. আবদুল কালামের পুরো নাম আভুল পাকির জয়নালআব্দিন আবদুল কালাম, (জন্ম: ১৫ ই অক্টোবর, ১৯৩১, রামেশ্বরম, ভারত — মারা মৃত্যু: ২ July জুলাই, ২০১৫, শিলং), ভারতের বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ যিনি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ from সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং ১৯৫৮ সালে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় (ডিআরডিও) যোগদান করেন। এরপর তিনি শীঘ্রই ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে চলে আসেন, যেখানে তিনি এসএলভি-তৃতীয় প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন, ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে ডিজাইন ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাহন তৈরি করেছিলেন। ১৯৮২ সালে ডিআরডিওতে যোগ দিয়ে কালাম এমন একটি পরিকল্পনা করেছিলেন যা বেশ কয়েকটি সফল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছিল, যা তাকে “মিসাইল ম্যান” উপাধি দিয়েছিল।
শিক্ষা সম্বন্ধে তাঁর দর্শন নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে দেখা যাবে তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষা একটি অন্তহীন ভ্রমণ- জ্ঞান এবং আলোকিতকরণের মাধ্যমে। বাস্তব শিক্ষা মানুষের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে এবং তার আত্ম-সম্মান এবং সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধকে সত্যিকার অর্থে বৃদ্ধি করে এ জাতীয় শিক্ষার জন্য একটি মনে রাখার মতো জিনিস হয়ে ওঠে।
তিনি বলেছিলেন ভারতকে সুযোগের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং একবিংশ শতাব্দীর উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে বিবেচনা করা হয়। জাতির বৃহত্তম শক্তি হ’ল তার যুব শক্তি ৬০০০০ মিলিয়ন যদি তারা একা দাঁড়িয়ে থাকে তবে তারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ গঠন করবে। তারা কীভাবে শিক্ষার আকার দেয় তা ভারতকাহিনীর পরবর্তী অধ্যায়টি নির্ধারণ করবে। তিনি প্রতিনিয়ত জাতির বৃহত্তম অনুপ্রেরণা হয়ে রয়ে গিয়েছেন আজও।
শ্রীতন্বী চক্রবর্তী
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।