গুচ্ছকবিতায় সোনালি চন্দ

ঝিনুকস্পর্শ

যে বালি সমুদ্রের ঢেউজলে ভিজে জেগে থাকে সারা রাত,
আমাকে সেই বালিতে পাবে,
জলের দাগে!
বালির গায়ে কতো
ছোট ছোট ঝিনুকের পড়ে থাকা ঘুমবালিশে অলস চাদরে মুড়ে
একলা আকাশ দেখি!
মেঘ নেমে আসে
সমুদ্রের কাছাকাছি,
যেখানে সমুদ্রের বুকের উপর আমি জেগে থাকি!
দূরের জনপদ থেকে
চিকচিকে ছোট্ট আলোগুলো
হাতছানি দিলে
আরোও দূরে কোথাও গিয়ে বসি!
এখানে রোদের গন্ধ নেই,
ভিজে বালিতে মুখ নীচু করে
চুম্বনে আমাকে ছুঁয়ে দেখো,
এখানেই আমি আছি,
নৈকট্য আরোও অমলিন,
গভীর, এখানে!
দূরের হাতছানি ভুলে যাই আমি, অদৃশ্য হাতছানি কখনো কখনো আলেয়ামিথ্যে!
দেশ,কাল হৃদয়
কোন ঢেউয়ের সাথে ভেসে যায়,
তুমি জানো, কতদূর!
হিসেব কষে,
দিন গুনতে গেলে ভালোবাসা
নীল ঢেউয়ে ভেসে যায়,
হিসেব কষে কী হবে?

আবদারিবিকেল

শেষ বিকেলের মৃদু আঁচে,
শেষ ট্রেনের
ধীরে
দূরে চলে যাওয়া!
এক ঝাঁক সাদা বকের
আগুন রঙে মিশে যাওয়া,
লাল পাপড়ির আবডালে!
কৃষ্ণচূড়ায় মনকেমনের সারেঙ্গি,
আজ আরোও অমলিন
পাতা ঝরা ডালে
দুটো ঠোঁটের গভীর চুম্বনে,
সন্ধ্যে নামে!
চুল উড়িয়ে
বসন্ত বিকেলে
নীলচে আলোর দাগ!
সন্ধ্যে রঙে
ঝড়ের আদর,
গাছেরা মাথা নিচু করে
আলিঙ্গনে,
সহবাসী ওরা!
কালবৈশাখী চোখের কাজলে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।