সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ৭৫)

পুপুর ডায়েরি
ছোটবেলা থেকে পুপু রচনা লিখছে , আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল।
এ বছরেও এসেছে বরষা।
মাঝখানে কিন্তু গান কবিতা খিচুড়ি ফুলুরি সব আলুনি হয়ে গেছিলো কোভিডের ধাক্কায়।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কি বর্ষামঙ্গল হয় ?
অগত্যা, চিঠিই লেখা হত মেঘদূত। মনে মনে।
ইদানীং, জুলাই অগাস্ট বললেই শহর কলকাতার মানুষ শিউরে ওঠে।
ছিন্নভিন্ন মেয়েদের মিছিল হাঁটতে হাঁটতে চলে মনের রাস্তায়।
তার মাঝে রথ।
এখন রথযাত্রাতেও নানান বাধা।
রথ অবরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাজপথে।
কষ্টেরা তালগোল পাকায় গলার কাছে।
ধর্ম রথ
প্রাণ হে তুমিই প্রাণকে দেখো
এগিয়ে দিয়ে মায়ার হাত
অর্থ বিত্ত হিসেব লেখার
চলছে চলুক কিস্তিমাত
মরণশীল এই মাটির ওপর
আরো ব্যথার জাল পাতা
অভাব আছে আরো আছে
স্বভাব পশুর ফাঁদ পাতা
যন্ত্রণাকে উল্লাসে খায়
মানুষ পশু ঠোঁট চেটে
এগিয়ে এসে বাঁচিও
যারা বলির পাঁঠা একচেটে
সেই খানে হোক সত্যি পূজা
সেই মানুষের ধর্মটাই
মানব ধর্ম রথের ধ্বজা
ভালোর সংজ্ঞা হোক সেটাই।
সবার আছে সমস্যা সব
সংশয় নয় মনের বল
মানুষ হতে হাত বাড়ালেই
বলবে বন্ধু সংগে চল।