কলমের চিঠি
আদিরসের নিরীহ দোয়াত এখন রূপকথা,
বর্তমানে কলম এসে সেই অভাবের আর্দ্র অভিমান ভেঙেছে,
ভেঙেছে কথা বলার কাব্যিক ধরণ।
প্রতিদিন সে নিজেকে শিকার করে
পুরোনো টেবিলে মেলে ধরে,
ঘরসংসার থেকে উরুচাপড়ানো ব্যবধানের জীবন পরিবর্তন করে দেয়।
মোমবাতি অথবা প্রদীপের হরিণ আগুনে
নিজের শীর্ণ শরীরে শব্দের দাবানল লাগিয়ে দেয়।
মনের ভাব নদী হয়ে বয়ে যাওয়া মাত্রই
সে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
ভীষন অলৌকিকভাবে শৈশবের স্মৃতি বিশ্লেষণ করে,
কখনও কখনও সেই চরিত্র ঘিরে কাব্য এঁকে দেয়
অথচ ডাকপিয়নের পায়ের চিহ্নে ও হাঁটতে পারে না,
কারণ জ্যোৎস্নার ঠিকানা আমার অজানা,
আমার উঠোন জুড়ে গাছ ভর্তি অনেক চিঠি,
পাতায় পাতায় ডাকনাম লেখা,
আরও লেখা,
“প্রিয় বন্ধু” , “প্রিয় বান্ধবী”, “শ্রদ্ধেয় মা”, “শ্রদ্ধেয় বড়দা”…