সাতে পাঁচে কবিতায় সৌরভ বর্ধন

ডুবজল ও চর্বনক্রিয়া

এমন কিছু বালির কথা আমার পায়ে লেখা আছে যাদের
নখের যোগ্য আমি নই। অথচ তাদের শুভ্রতায় ঘাপটি মেরে
আমি ডিঙিয়ে ফেলেছি অসংখ্য ডুবজল। কাঁকরের শব্দে
কান পাতা দায়, ডানার আওয়াজ হায় হায় করে ছুটছে …

আমাকে আশ্রয় দেবার মতো কবিতা
কোনো কবি লিখতে পারেনি আজও
আমার আশ্রয় আমি নিজেই (!)
আমিই সুগন্ধমুক্তি আমিই স্বয়ং মুক্তাশা

সীমাছাড়ানো আলগোছের কাছে কয়েকটি নক্ষত্র কয়েকটি
ঝিঁঝি এসে বলেছে : কবিতায় আমরা কলার তুলতে চাই…

প্রসূতিকালীন পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার পর আবারও বললাম
একই কথা ; কথায় কথায় আমার শিরায় কীর্তন হয় অপার

এই দ্যাখো
জ্বলন্ত পুড়ছি আমি অতিক্রম : নীল ও সাদার মিশ্রিত দিয়ে শঙ্খচিল উড়ে গেলে দেখতে লাগে যেন সুপ্রাচীন তুলসীবন
আমার ভোরের ভেতর ফুটিয়ে চলেছে বালার্ক গুঁড়োর স্বর।

চেবানোর কাজে অপটু হওয়ায় আমার ঢেকুরও কথা বলে,
এই তিতকুটে ব্যথার পঞ্চায়েতে আমার কাজ শুধু ডুবে থাকা

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।