।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় সুইটি বসাক

উৎসব

বেলা ১২ টা বাজে মিটিং চলছে। ১০-১২ টা ফোনে মিসড কল। মিটিংটা শেষ হলে নীল মীরা কে ফোন করল।” মা ” র কিছু হলো ?মেয়েটা খুব দুস্টু হয়েছে। মীরা একা ওকে সামলাতে পারে না।
মীরা: সারা সপ্তাহ অফিসের কাজ একদিন ছুটি নিয়েছি। উফ: আর পারছি না। তুমি তোমার মা এর দায়িত্ব নাও।
নীল : আমি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করছি।
নীল ও মীরা র ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান তিতলি। রাতে যখন নীল ফিরল তিতলি ঘুমিয়ে পড়েছে।
তিতলি ঘুমের ঘোরে মা বাবা র কিছু কথা শুনতে পেল। মা বাবা ঠাম্মা কে কোথায় দিয়ে আসবে বলছে। মিমির খুব রাগ হলো ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ঠাম্মা। ঠাম্মা ওকে গল্প বলে খাওয়ায় ঘুম পারায়। মা বাবা অফিসে চলে গেলে ঠাম্মাই ওর খেলার সাথী।
৩ মাস হয়ে গেছে ঠাম্মা বাড়ি নেই তিতলির মন ভালো নেই। তিতলি কে দেখশোনার জন্য মাসি আছে। কিন্তু মাসি তো ঠাম্মা র মতো গল্প বলতে পারে না। আদর করে খাইয়ে দেয় না। তিতলি সারাদিন একা একা থাকে। তিতলি ধীরে ধীরে একা আর জেদী হয়ে যাচ্ছে।
মীরা: চলো তিতলি দূর্গা পূজা আসছে তো তোমার নতুন জামা কিনে আনি।
তিতলি: অন্য খেয়ালে বলতে লাগলো দূর্গাপূজার গল্প ঠাম্মা আসলে শুনব।
নীল বুঝতে পারে ওদের মেয়ে ভালো নেই ওরা একজন সাইক্লিস্ট এর সাথে কথা বলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। তিতলি শুনতে পায়ে অষ্টমীর দিন হঠাৎ ঠাম্মা বলছে ‘তিতলি বুড়ি’। তিতলি এর মুখে হাসি আজ ও খুব খুশি। তিতলির দুর্গা উৎসব ওর ঠাম্মা মা বাবা র সাথে খুব মজা করে কাটবে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।