সম্পাদকীয় কলম
বাঙালির জয় হোক
গতকালের দিনটি (২৩শে আগস্ট, ২০২৩) স্মরণীয় হয়ে থাকল সমগ্র ভারতবাসীর কাছে। চাঁদের মাটিতে ছাপ রাখল ভারত। এটা আমাদের কাছে ভীষণ গর্বের বিষয়। চন্দ্রযান ৩ নামের ভারতের মহাকাশযানটি তৈরি করতে ৪ বছর সময় লেগেছে। এই চন্দ্রযান মিশনে রয়েছে ১৮ জন বাঙালি। একজন বাঙালি হয়ে তাদের জন্য গর্বিত বোধ করছি এবং একজন ভারতবাসী হিসেবে বলতে গেলে এই আনন্দের কোনও সীমা নেই।
বাঙালিরা বিশ্বের নানা দেশে, নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। অনেক মহৎ কাজে নিজেদের প্রতিভা এবং পরিচয় প্রমাণ করে ইতিহাসের বইয়েতে উজ্জ্বল আকারে নাম প্রকাশ করেছে। সেই বিষয়ে কম-বেশি আমাদের সকলেরই জানা। শিল্প এবং সাহিত্যের ক্ষেত্রেও বাঙালিরা অনেকটা এগিয়ে। ফেসবুক খুললেই দেখা যায় প্রতি দিন কেউ-না-কেউ নতুন কবি-লেখক প্রচারে আসছে৷ নতুন ভাবনার সাথে, নতুন সৃষ্টির সাথে আলাপ হচ্ছে প্রতিদিন। বহু অনলাইন এবং অফলাইন ম্যাগাজিনের সাথে পরিচয় হচ্ছে। বাংলা সাহিত্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচুর সু্যোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন আর বাণিজ্যিক পত্রিকায় না লিখতে পারলে কারোরই তেমন আফশোস থাকে না। কারণ সবাই লেখালেখির মূল আনন্দ কোথায় জেনে গেছে। প্রত্যেক কবি-লেখকদের মূল উদ্দেশ্য থাকে তাঁর রচিত লেখা যেন পাঠকের কাছে পৌঁছায় এবং সেই লেখাটি যেন পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে। লেখা প্রকাশের মাধ্যম ফেসবুক হোক কিংবা অনলাইন ম্যাগাজিন কিংবা অফলাইন ম্যাগাজিন। ছোট নদী যেমন সমুদ্রে গিয়ে মেশে। ঠিক তেমনই ভালো লেখার পাঠক একদিন অনামী কবি-লেখককে বিখ্যাত করে তুলবে। ভালো লিখতে গেলে প্রথমে একজন ভালো পাঠক হতে হবে এবং ভালো বক্তা হতে গেলে প্রথমে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে।
বাঙালিরা সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আসুক। জয় করুক সকল বাঙালির মন। বাঙালির জয় হোক। অন্য কাউকে নয় সর্ব-প্রথম নিজেকে বিশ্বাস করুক, নিজের উপরে ভরসা রাখুক।
সবুজ বাসিন্দা