বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (রসায়ণ অনার্স), স্নাতকোত্তর বিএড, এমবিএ-র পর পেশা জীবনে ছিল অস্থিরতা। শেষে লেখালিখির জগতে নোঙর করে বর্তমানে একাধিক বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক পত্র-পত্রিকায় গল্প,কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, ছোটদের সাহিত্য, ফিচার ইত্যাদি রচনায় নিয়মিত। মাঝে কয়েক বছর এসবের সঙ্গে ছিল কয়েকটি ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লেখাও। কবিতা দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও গদ্য সাহিত্যে বিশেষ সমীহ লাভ। অত্যন্ত স্পষ্টবাদী ও আপাদ-মস্তক স্বচ্ছ স্বভাবের মানুষটির অঙ্কুরোদ্গম ৫ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ মামাবাড়ির শহর মেদিনীপুরে আর পৈতৃক বসবাস সূত্রে শেকড় পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহকুমার ডিশেরগড় খনি অঞ্চলে। এ পর্যন্ত স্বীকৃতি বলতে বঙ্গ সংস্কৃতি পুরস্কার ২০১২, ঋতবাক ‘এসো গল্প লিখি’ পুরস্কার ২০১৬-১৭, শর্মিলা ঘোষ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ (শ্রেষ্ট গল্প), ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮, উষা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮, নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী বর্ষ সাহিত্য সম্মাননা ২০১৮ (গল্পগ্রন্থ)।
বজ্র
আমরা কেউ স্বয়ম্ভু নই,
কেউ নই বানে ভেসে আসা।
তবু ছিন্নমূল হতে হয়,
ক্ষমতার একটাই ভাষা।
স্বার্থের প্রোগ্রামিংএ ভরা
কাঁটাতার হোক বা প্রাকার —
কখনও বা লাশ ঝোলে তাতে,
কখনও তা হয় খোলা দ্বার!
আমি কোথাকার নাগরিক?
কোন বাতাসেতে অধিকার?
শস্য খেতে হাল দিতে পারি,
ফসল কি থাকবে আমার?
দেশ কাল সময়ের কাছে
দধিচিরা প্রশ্ন রেখে যায়;
রাষ্ট্র তো মানচিত্র দিয়ে
প্রাণের হিসাব দিতে চায়।