অনেক হল আত্মপীড়ন, এবার মা মুখ তোলো;
অনেক হল রক্তক্ষরণ, এবার তো চোখ খোলো।
সৃজন তোমার নয় তো খেলা, কষ্ট তো কম নয়…
যাদের তুমি সৃষ্টি করো, তাদের হাতেই লয়?
রক্ত দুধে ভিজিয়ে যাদের গর্ভে বক্ষে ধরো,
তারাই তোমায় বর্জ্যে ডোবায় সহ্য কেন করো?
তোমার পক্ষপাতে যারা অধিক বলশালী,
তাদের পায়ে পিষ্ট হয়েও হাসছ কেন খালি?
কালের তুমি অধীশ্বরী, তুমিই মহাকালী;
কালের হাতে বন্দী হয়েও দিচ্ছ করোতালি!
ডিম্বাণুতে সুপ্ত জীবন গর্ভে মহাবিশ্ব,
প্রজাপতি স্রষ্টা কীসের? সে তো তোমার শিষ্য।
প্রসন্ন হও জগন্মাতা, আত্মঘাতী নয়;
আত্মজাতে তোমার ধারা পুত্রে শুধু লয়।
প্রসন্ন হও হরপ্রিয়ে মধুরাত্রী শেষে,
কন্যা যেন তৃপ্ত হতে পারে ভালোবেসে।
জীবনসাথী কর্তা কেন, বশ্য হবে তার –
চিতায় পুড়ে ছাই হয়ে যাক সমস্ত বিকার।