|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সুদীপ ব্যানার্জী
by
·
Published
· Updated
বিচ্
সকালের সাইরেন বাজা বন্ধ হওয়ার পর থেকেই বিলকিসের আব্বা আর ঘর থেকে বের হতে চান না। সুগার, প্রেসার ধরেছে অনেকদিনই। একটু হাঁটাহাঁটি করা খুব দরকার। কিন্তু না, অনেক চেষ্টা করেও আব্বুকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসতে পারেনি বিলকিস। আম্মুও আর কিছু বলে না। খালি তাকায় আব্বুর দিকে।বড়ভাইয়ের মার্ডারটা পলিটিকাল ছিল কি? গ্র্যাজুয়েট বিলকিস এসব বোঝে না। বোঝার চেষ্টা করে দেখেছে অনেকবার। কিন্তু বুকের কাছটা বারবার ভারী হয়ে গেছে। কান্না পেয়েছে খুব। কিন্তু না, এ ভাবে বসে থাকলে বিলকিসের চলবে না। ইয়া আল্লাহ্, এই মগরিবের নামাজের পর বিলকিস খাতুন আর বিলকিস খাতুন থাকে না। একবার আব্বার দিকে, একবার আম্মুর দিকে তাকিয়ে চট করে হ্যান্ডব্যাগটা গুছিয়ে নিতে নিতে কান্নার দমক সামলালো বিলকিস। এরমধ্যেই একটা মিসড্ কল্, হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ — ” ইউ বিচ্, আজ ভি ক্যায়া কাস্টমার কো ওয়েট করাইগি? “।