|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় স্বাগতা ভট্টাচার্য
by
·
Published
· Updated
ভোরের মালতী
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মালতী দেখে সাতটা বেজে গেছে।এবারে না রেডি হতে পারলে আর জায়গা পাওয়া যাবে না ভালো।তা-ই ৪০ বছরের শরীরটার উপর একটা শাড়ি এমন ভাবে জড়িয়ে নিলো যাতে লুকিয়ে থাকা শরীরের কিছু অংশ বাইরে থেকে দেখা যায়। ঠোঁটের লিপস্টিক টা আজ একটু গাঢ় করতে হবে। কাল বাজার একটু হালকা ছিলো।
ঠিক টাইমে আজ পৌঁছে গেছে মালতী। আজ একেবারে ল্যাম্পপোস্টটার ঠিক নিচেই দাঁড়িছে।পুরো আলো ওর গায়ে এসে পড়ছে।
কখনো চারচাকা, কখনো দুচাকায় সারারাত হাওয়া খেতে-খেতে চোখের কাজল লেপ্টেগেছে।লিপস্টিকের রঙও যেন কে বা কারা শুষে নিয়ে।
পূব আকাশে তখন দু-একমুঠো লাল আবির কেযেন ছড়িয়ে দিয়েছে।
আজ পায়ে হেঁটে বাড়ি আসতে তার পা গুলো যেন জড়িয়ে আসছে। অবসন্ন দেহে বাড়ির দরজায় টোকা দিতেই তার বছর পনেরোর মেয়ে দরজা খুলে দাঁড়ালো। ব্লাউজের ভাঁজে রাখা টাকা গুলি মেয়ের হাতে দিয়ে বল্লো টিউশনের ফিজটা আজ দিয়ে দিবি।আর মুদির দোকানে কিছুটা দুহাজার আছে।
“আমি কলতলে চান করতে যাচ্ছি,চান করে ঘরে ঢুকবো”।