T3 শারদ সংখ্যা ২০২২ || তব অচিন্ত্য রূপ || বিশেষ সংখ্যায় শীতল বিশ্বাস

প্রাক পূজো

ভাদ্রে কেমন শুকিয়ে যায় নদী।দেখতে যেতাম।কাশ ফুলে বার্তা আসত মায়ের আগমনীর।শ্রাবনের গন্ধেশ্বরীকে আর ভাদ্রের গন্ধেশ্বরীকে চেনা দায়।একজন দামাল।অন্যজন স্থিতধী।পুরনো পাড়া কায়স্থ পাড়ায় তিন তিনটে দুর্গাপূজো।দুটো দত্তদের।একটা চাটুজ্জেদের।নহবতখানা বসত কারমাইকেল গেটে।এই পূজো এক দত্তদের।এবং সেটা অষ্টধাতুর।আর এক দত্তদের মৃন্ময়ী মূর্তি।চাটুজ্জেদেরও মাটির মূর্তি।নিষ্ঠাভরে বিল্ববরণ,কলাবউ এর পূজো।অষ্টমীর সন্ধিপূজোর জন্য উৎকর্ণ থাকতেন সবাই।বিষ্ণুপুরের কামানের ধ্বনি শোনার পর পূজো শুরু হত।চলত ছাগল বলি।সেটা কেবল চাটুজ্জেদের মেলাতেই হত।আর কায়স্থদের নিরামিষ পূজো।এখনো গন্ধেশ্বরীতে ভাদ্র-আশ্বিনে তিরতিরে জল দেখলেই ভেসে আসে শৈশব।ভেসে আসে সানাইয়ের পোঁ,ঢাকের বোল।অন্য শব্দদের ছুটি থাকত এই কটা দিন।মন্ডপে ক্যারাম,দাবা,ব্রিজ খেলা চলত।জমজমাট আড্ডার আসর বসত।সবাই সবার সাথে কি সুন্দর মিশে যেতেন।তিন মন্ডপে তিন মা।তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে।তাঁর সংসার নিয়ে।নিজের সংসার নিয়ে মশগুল।কায়স্থপাড়া ছোট পাড়া।তিন তিনটে পূজো।অদ্ভূত মিলেমিশে পূজো হত।কেউ কারো ব্যাপারে নাক গলাবে না কিন্তু বিপদে থাকবে পাশে।মনে পড়ে সব।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!