জন্মাষ্টমী। সারা ভারত এবং বিশ্বেও বহুচর্চিত অবতার, আজকের ভাষায় আইকন, শ্রীকৃষ্ণ।
তাঁর জন্মদিন বা তিথি পালন করতেই জন্মাষ্টমীর উৎসব।
এখন এটি নেহাৎ বাঙালির তালের বড়া আর মালপোয়া ইত্যাদি আর অন্য রাজ্যে দইয়ের হাঁড়ি ফাটানোর হই হইতে এসে দাঁড়াল।
কিন্তু কে যে কৃষ্ণ, মানে বৃষ্ণিবংশীয় রাজপুরুষ বসুদেবের পুত্র, ভোজবংশীয় রাজকন্যা দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান, আর
কেন যে তাকে যাদবকূলের প্রতিনিধি হয়ে ভোজবংশীয় যাদব রাজ উগ্রসেনের ছেলে কংসকে সিংহাসন থেকে সরানোর গণ বিপ্লবের নেতা হতে হয়েছিল তের বছর বয়েসে, সে কি কেউ খোঁজ রাখে?
কৃষ্ণ ত রাজাও নন। কংসকে মেরে বাবা মাকে কারাগার থেকে মুক্ত করার পর তার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ ত কংসের বাবা বন্দী রাজা উগ্রসেনকে মুক্ত করে ফের সিংহাসনে বসিয়েছে।
তবে কেন কেষ্টকে নিয়েই মাতামাতি।
সে ত এই রাজপরিবারের বাবা মাকে চেনেও না।
তার আজন্মের পরিচিত বাবা মা স্নেহের জন, প্রাণের পুতলী রাধা সব ত পড়ে রইল যমুনার অন্য পাড়ে। বৃন্দাবনে।
এক রাত্রে আচমকা সবাই পর হয়ে গেল।
সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করবে আর গালি খাবে বলেই এক কিশোর ছিন্নমূল হয়ে এসে দাঁড়াল উন্মত্ত অত্যাচারিত মানুষের অভ্যুত্থানকে নেতৃত্ব দিতে।
কি বলেন, নকশাল ?
নাড়ু খাওয়া নাড়ুগোপাল কি সেই ছেলেটাকে বলা যায় ?
ভক্তরা ভেবে দেখুন।
বাসুদেবের অনুগামী হওয়ার সাহস সত্যি সত্যিই আছে তো?