ক্যাফে গল্পে সুমন

চৌধুরী বাড়ির রহস্য

আমি হৃদয়পুরের বাসুদেব মন্ডল। আমি এইসব ভূতপ্রেতের ব্যাপারে নিজেকে কোনভাবেই জড়াতে চাইনি। কিন্তু এরা একরকম আমাকে ধরে শুধু নয় রীতিমতো বেঁধেই নিয়ে এসেছে। এরা বলতে আমাদেরই হৃদয়পুরের গোয়েন্দা দেবরাজ দাশগুপ্ত এবং তার শাকরেদ ও ভাই যুবরাজ দাশগুপ্ত মশাই আর এদের সঙ্গে রয়েছেন পালের গোদা গোয়েন্দা বীরেন চক্রবর্তী। কেসটা বীরেনবাবুর, কেস সলভ হলে সেটা ছেপে বেরোবে দেবরাজ দাশগুপ্তর গোয়েন্দা অ্যাডভেঞ্চার হিসাবে আর লেখক হিসেবে নাম হবে যুবরাজ দাশগুপ্তের। আমার এখানে লাভটা কোথায়? কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাকে রীতিমতো এখানে ধরে আনা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে অব্দি তিন মূর্তিকে আশেপাশে দেখতে পাচ্ছিলাম। এখন আর পাচ্ছি না। আমাকে ভূতের খাদ্যে পরিণত হওয়ার জন্য ছেড়ে পালালো নাকি?

যাই হোক! আমি তাহলে পুরো ব্যাপারটা শুরু থেকেই বলি। নইলে আপনারা ঠিক খেই ধরতে পারবেন না। আমি নিজেও যে সবটা খুব ভালোভাবে জানি তা নয়। আমি দেবরাজবাবুর কাজ থেকে যেটুকু জেনেছি সেটুকুই বলি। শ্যামল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি কিছুদিন আগে গোয়েন্দা বীরেন চৌধুরীর কাছে এসেছিলেন। একটা কেস নিয়ে ওনার কাকা অলোক মিত্র কিছুদিন আগেই দেহ রেখেছেন এবং তার কোন উত্তরাধিকারী না থাকায় নীতিশ চৌধুরীর বাড়ি এবং স্থাবর- অস্তাবর সম্পত্তির সবটাই তিনি দিয়ে গেছেন শ্যামল চৌধুরীকে। কিন্তু শ্যামলবাবু সম্পত্তি পাবার পরই নীতিশ বাবুর এক দুঃসম্পর্কের ভাগ্নে প্রবীন ধর এসে শ্যামলবাবুকে রীতিমতো থ্রেট করে যান। তারপর থেকে নীতিশবাবুর কাছ থেকে শ্যামলবাবু যে বাড়িটা পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে সেখানে ভূতের উৎপাত শুরু হয়। শ্যামল বাবু আর ওনার ছোট ভাই কমলবাবু রীতিমতো প্রত্যক্ষ করেছেন কিছু ভৌতিক ঘটনা। তাতে দুজনে বেশ ঘাবড়ে গিয়ে কি করা উচিত সেটা বুঝতে না পেরে প্রথমে এক ওঝার কাছে গিয়েছিলেন। তন্ত্রমন্ত্র এসবেও কাজ না হওয়াতে একরকম হতাশা গ্রস্থ হয়েই শ্যামলবাবু এসে উপস্থিত হয়েছিলেন বীরেন চক্রবর্তীর কাছে। বীরেন বাবু তার মক্কেলকে জানিয়েছেন ভূতের ব্যাপারটা তার এখতিয়ারে পড়ে না। কিন্তু ভূতের আড়ালে কোন মানুষের দূরভিসন্ধি থাকলে বীরেন বাবু তার পর্দাফাঁস করবেন‌ই। সেই সূত্রেই আজ রাতে রীতিমতো চুপিসারে চোরের মত আমরা এসে হাজির হয়েছি এই নীতিশ চৌধুরীর বাড়িতে। এনারা তিনজন শ্রীপল্লি থেকে আমাকে এই অন্ধকারে একলা ফেলে তিনমূর্তি কোথায় যেন ভ্যানিশ হয়ে গেছেন। বীরেনবাবুর কড়া নির্দেশ বাড়ি আলোটালো জ্বালানো যাবে না। শুধুমাত্র মোবাইল জ্বালানো যাবে তাও আবার খুব প্রয়োজন না হলেই নয়। কোন‌ও মানে হয়। কাউকে নাকি নাম ধরেও ডাকা যাবে না। বোঝো অবস্থা। এই অন্ধকারে ভূতের বাড়িতে কোন মানুষ থাকতে পারে। যদিও অন্ধকারে চোখ বেশ সয়ে এসেছে। তাও চারিদিক কেমন যেন ঘোলাটে ঘোলাটে বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে চারিদিক থেকেই যেন যখন তখন কোন‌ও ভূত এসে আমার ঘাড়ের ওপর হামলে পড়বে। না, আজ আর পৈতৃক প্রানটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব বলে মনে হয় না। এই মুহূর্তে আমি রীতিমতো অন্ধকারে হাতড়াচ্ছি। কিন্তু ওটা কি একটা হালকা লাল আলোর বিন্দু দেখতে পাচ্ছি। যেন আলোর বিন্দুটা একটু একটু করে বড় হচ্ছে। সেটা আমার দিকেই এগোচ্ছে। একি এত ধোঁয়া আসছে কোথা থেকে। ধোঁয়ার মধ্যে একটা মুখ দেখতে পাচ্ছি। হ্যাঁ মুখ‌ই তো। কিন্তু কি বীভৎস মুখ। আর তার সাথে কেমন একটা বোঁটকা গন্ধ। শরীরটা যেন কেমন করছে। মাথাটাও বেশ ঝিমঝিম করছে। কদর্য মুখটা এবার একদম আমার সামনে এসে পড়েছে। আমি আর নড়তে পারছি না। এইবারে বোধ হয় অজ্ঞান হয়ে যাব। একি হটাৎই সব বদলে যাচ্ছে কি যে। ধোঁয়া আর গন্ধ দুটোই কমে আসছে। বীভৎস মুখটা কেমন নেতিয়ে পড়ল।সেই হাল্কা লাল আলোটা আর দেখা যাচ্ছে না। অন্ধকারে একটা আওয়াজ হল মনে হচ্ছে মনে হয়। দুমদাম শব্দে কেউ যেন পালাতে গিয়ে পড়ে গেল। ওরে বাবারে; কে চেচাঁলো, এত মানুষের গলা। অন্ধকারের মধ্যে আমি এখন পুরোপুরি কনফিউজড, একি আমার হাত ধরে টানে কে? ঠিক তখনই একটা পরিচিত গলা বলে উঠল; ভয় পেও না বাসুদেব, আমি দেবরাজ দাশগুপ্ত, মিশন সাকসেসফুল। বাছাদন এখন বীরেনবাবুর খপ্পড়ে। আর কোন চিন্তা নেই ভায়া। চলে এসো।
রাতের ওই ভৌতিক কান্ড
কারখানার পর সকালে আবার‌ও দেবরাজবাবু আর যুবরাজবাবু আমাকে একরকম জোর করেই ধরে এনেছেন শ্যামলবাবুর বর্তমান বসত বাটীতে। বীরেনবাবু আগেই পৌঁছে গিয়েছেন। এখন দেখলাম বাড়ির বাইরে এবং ভেতরের যে ঘরে সবাইয়ের বসার ব্যবস্থা হয়েছে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে ভূতের হাত থেকে রেহাই হওয়ার পর সকালে আবার পুলিশ। না বাসুদেব মন্ডল এইসবের ঠেলা কাটিয়ে ওঠে তোমার পক্ষে বেশ শক্ত। ঘরে আমরা চারজন আর পুলিশ অফিসার ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন শ্যামল চৌধুরী, ওনার ভাই কমল চৌধুরী এবং নীতিশবাবুর সেই ভাগ্নে প্রবীণ ধর। প্রবীণবাবু অবশ্য নিজে থেকে আসেননি। তাকে রীতিমতো পুলিশ দিয়ে ধরে আনতে হয়েছে। বীরেনবাবু এবার চেয়ার ছেড়ে উঠে বেশ গলাখাঁকরি দিয়ে বলতে শুরু করলেন,”আজ আপনাদের বেশি সময় নেবো না। ছোট একটা কেস, তার সমাধানও বেশ সহজেই হয়ে গেছে। তাই সমাধানের ব্যাপারটা আপনাদের সামনে রাখবো”। এই বলে বীরেন গিয়ে দাঁড়ালেন প্রবীণ ধরের সামনে তারপর সামনের টেবিলের ওপর ছড়িয়ে রাখা বেশ কিছু তার, ইলেকট্রিক বাক্স,মুখোশ এইসবের দিকে নির্দেশ করে প্রবীণবাবুকে বললেন ‘এগুলো কি চেনা লাগছে?’
প্রবীণ ধর জিনিসগুলোর দিকে তাকিয়ে বললেন,’ওগুলো খুব সস্তার জিনিস। আমরা অনেকসময় সিনেমায় সিরিয়ালে স্পেশাল এফেক্ট ওগুলো ব্যবহার করি। তবে এগুলি খুবই সস্তাদরের’। বীরেনবাবু এবার মুচকি হেসে প্রবীনবাবুকে বললেন,’তার মানে আপনি কনফার্ম করছেন এগুলো দিয়ে নকল ভূত তৈরি করা যায়। আর আপনি যে সিরিয়াল সিনেমায় একজন রেগুলার স্পেশাল এফেক্ট আর্টিস্ট এটা আমরা সবাই জানি।’ওয়েট ওয়েট’একটু বেশ কড়া গলায় বলে উঠলেন প্রবীণ ধর,’আপনি কি বলতে চাইছেন আমি ভূত সাজিয়ে শ্যামলবাবুকে ভয় দেখিয়েছি ওই বাড়ি হাতানোর জন্য? রাবিশ। এইসব বস্তাপচা জিনিস আমার কোম্পানিতে ব্যবহার হয় না। এটা ঠিক যে আমি শ্যামলদাকে থ্রেট করেছিলাম কারণ আমার মনে হয়েছিল নীতীশ মামা আমার সাথে অবিচার করেছেন,অন্যায় করেছেন। এটলিস্ট বাড়িটা আমাকে দিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু এসব ভূতটূত তৈরির খেলা আমি করিনি। করলে আর‌ও ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করতাম। এইসব ফালতু জিনিস নয়।’আমি দেখলাম বীরেনবাবুর মুখে একটা দুষ্টু হাসি খেলে গেল। তিনি প্রবীণবাবুর আর‌ও কাছে এসে বললেন,’সেকথা আমি জানি প্রবীণ বাবু। আর তাছাড়া আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি আপনার কোম্পানি বেশ ভালোই চলছে। কাজেই টাকা পয়সার খুব দরকার এই মুহূর্তে আপনার ততটা নেই। কিন্তু এই ঘরে উপস্থিত একজনের আছে। এবং তিনি জানতেন যে গতরাতে আমরা ওই বাড়ি যাব এবং সেটা কমলবাবু জানতেন না। তাই গতরাতেই ভূতের আবির্ভাব হয়। বাড়িটা তার পেলে খুব সুবিধে হয়’। এইভাবে কথা বলতে বলতে বীরেনবাবু এসে দাঁড়ালেন কমল মিত্রের সামনে। তারপর তাকে লক্ষ্য করে বললেন,”স্টেজে ম্যাজিক দেখাতেও তো আজকাল স্পেশাল এফেক্টের দরকার পড়ে তাই না কমলবাবু। আর ম্যাজিশিয়ান যদি খুব নামীদামী কেউ না হন তো তাকে কিছু সস্তাদরের জিনিসপত্র নিয়েই কাজ কারবার করতে হয়। তাই না?’
হঠাৎ ফুঁসে উঠে কমল লাহা বললেন,’কি বলতে চাইছেন আপনি?’বীরেনবাবুকে দেখলাম এতোটুকুও উত্তেজিত না হয়ে একইভাবে বললেন,”বলতে নয় দেখতে চাইছি’। বলেই বীরেনবাবু ইশারা করলেন পুলিশ অফিসারের দিকে। তিনি আবার ঘরের বাইরে দাঁড়ানো এক কনস্টেবলকে ইশারা করতেই বাইরে থেকে হাতকড়া পড়ানো একটা শুঁটকো মত লোককে এনে হাজির করলেন সেই কনস্টেবল।
বীরেনবাবু এবার সেই শুঁটকো লোকটার দিকে আঙুল তুলে কমল বাবুকে বললেন,’দেখুন তো চিনতে পারেন কি না? আপনারই শাকরেদ ঝন্টু। এককালে আপনি যখন স্টেজে ম্যাজিক দেখাতেন তখন আপনার সরকারী ছিল। আজও আপনি যখন স্মাগলিং এর ব্যবসায় ঢুকেছেন তখন‌ও বিশ্বস্ত ঝন্টু আপনার সহকারী। আপনার কাকার ঐ বাড়ি সার্চ করে বেশ কিছু চোরাই মাল পাওয়া গেছে। অলোক বাবু মারা যাবার পরে ওই বাড়ি যখন আপনার দাদা শ্যামলবাবুর হল তখনই আপনি তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে নিজের দুনম্বরী ব্যবসার চোরাই মাল ওই বাড়িতে গোপনে মজুত করতে শুরু করেন। আর যখন শ্যামলবাবু বাড়িটা বিক্রির কথা চিন্তা করলেন তখন আপনি ভয় পেয়ে গেলেন। এমনিতেই জুয়া খেলে বাজারে আপনার দেনার শেষ নেই। তারপর নতুন করে গড়ে ওঠা চোরাই জিনিসের ব্যবসাও যদি উঠে যায় তাহলে আপনি একেবারে ধনেপ্রাণে মারা পড়বেন। তাই বাড়িটা বিক্রি করতে দেওয়া যাবে না। অতএব সবচেয়ে ভালো উপায় ভূতের বাড়ি বলে চালিয়ে দাও। আপনি শ্যামল বাবুর সঙ্গে সঙ্গে থেকে দেখাতে চাইলেন যে আপনি দাদার প্রতি অনুগত। আসলে আপনি দেখতে চাইলেন ভূত তাড়াতে আপনার দাদা কি কি পরিকল্পনা নেন। ওঝা বা গুনিনকে আপনার ম্যাজিকের প্রযুক্তি দিয়ে ভড়কি দিলেও এই ঝন্টুকে দিয়ে গোয়েন্দা বীরেন চক্রবর্তীকে ভয় দেখাতে গিয়েই হড়কে গেলেন। ঝন্টু সব স্বীকার করেছে আর আপনারও স্বীকার করা ছাড়া উপায় নেই। শুধু মানুষকে ভয় দেখানো বা নিজের দাদাকে ঠকানোই নয় বেআইনি স্মাগলিং-এর অভিযোগও দায়ের হয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। অতএব আপনার শ্রীঘর দর্শন না হয়ে যায় না।
বীরেনবাবুর কথা শেষ হতেই মাথা নীচু করে বসে থাকা কমল চৌধুরীকে পুলিশ অফিসার হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে চলে গেলেন।প্রবীন ধর‌ও শ্যামলবাবুর হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বিদায় নিলেন। সবশেষে শ্যামলবাবু একটা বেশ বড় অ্যামাউন্টের চেক নিয়ে বীরেনবাবুর কাছে এসে বললেন,’আমার নিজের ভাই যে আমার সাথে এরকম করতে পারে সেটা আমি ভাবতেই পারিনি। আমি তো ভাবছিলাম প্রবীন‌ই রয়েছে এর পেছনে। যাইহোক সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, আর এই হল আপনার পারিশ্রমিক।’
চেকটা হাতে নিয়ে শ্যামল বাবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বীরেনবাবু বললেন,’কাছের মানুষরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের ওপর বিশ্বাসের সুযোগ নেন। তখনই আমাদের মত গোয়েন্দাদের তাদের ভালো মানুষের মুখোশ টেনে খুলে দিয়ে তাদের আসল চেহারাটা ক্লায়েন্টদের সামনে নিয়ে আসতে হয়। তাতে হয়ত সেই ক্লায়েন্টের মনে সাময়িক আঘাত লাগে কিন্তু ভবিষ্যতের বড় ক্ষতির হাত থেকে তারা রেহাই পেয়ে যান। সেইজন্য অনেক সময় সত্য অপ্রিয় হলেও সেটা আমাদের সামনে আনতে হয়। এটাই আমাদের কর্তব্য’। যাইহোক এখন তাহলে আসি।
আমরা চারজনেই একসঙ্গে বেরিয়ে এলাম শ্যামল চৌধুরীর বাড়ি থেকে। বীরেনবাবু আমাদের সবাইকে নিয়ে এলেন একটা রেস্টুরেন্টে। তারপর গুছিয়ে বসার পর তিনি আমাদের শ্যামল বাবুর কাছ থেকে পাওয়া চেকটা দেখিয়ে বললেন,’এতে কিন্তু আমাদের চারজনের সমান শেয়ার। কেসটা আমরা চারজনে মিলেই সলভ করেছি। বিশেষ করে বাসুদেবকে নকল ভূতের সামনে টোপ হিসাবে ব্যবহার না করলে প্রমাণ সহ এত সহজে ঝন্টুকে ধরে কেস সলভ করা যেত না। আমি চেকটা ভাঙ্গিয়েই আপনাদের শেয়ার ক্যাশে আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব’।
বীরেনবাবুর কথা শুনে এমনিতেই ভালো লাগল, কিন্তু ভূতের সামনে টোপ ফেলার ব্যাপারটা মোটেও মেনে নিতে পারলাম না। তবে হ্যাঁ অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপারটা শুনে আর বেশি কথা বললাম না। দেবরাজবাবুর অর্ডার অনুযায়ী খাবার এসে গিয়েছিল টেবিলে তাই সেইদিকে মনোনিবেশ করাটাই এই মুহূর্তে শ্রেয় বলে মনে করলাম।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।