সুলগ্না, এই নাম আমি শুনেছিলাম অনেক বছর আগে। তাও নাই নাই করে আট বছর হয়ে গেলো। কিন্তু সে তো এক অন্ধকারের ইতিহাস।
অমৃতা আমার দিকে চুপ করে তাকিয়ে আছে, মনে হয় ও প্রতিটা রেখার মধ্যে দিয়ে দেখতে পাচ্ছে অন্ধকারের সেই ইতিহাস।
এখন ঘড়িতে বেলা এগারোটা। কিন্তু পেয়ারাবাগানের নির্জনতা নিয়ে এসেছে ভর দুপুরের আমেজ। আমাদের রান্নাঘরের পিছন দিকে গেলেই এ পাড়ার শেষ প্রান্ত, তার পর গভীর ডোবা। সেই ডোবার সামনে প্রথম দিন আমি আর অমৃতা এসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শুধু একটাই কথা জানতে চাই –
– ” তোমার ভয় করবে না তো?”
অমৃতা বলেছিল এই গভীর ডোবার খাদের মতোই তো গোটা জীবন, কখন তুমি এখানে অজান্তে এসে দাঁড়িয়ে পরবে তুমি জানতেও পারবে না কিন্তু ।
নিঃশ্বাস এখানে কলাগাছ, আমগাছ আর দুজন পাহারা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে দুটো নারকেল গাছ। আস্তে আস্তে গড়িয়ে শরীরের সমস্ত স্পন্দন চলে যাচ্ছে এই গভীর ডোবায়।
অনেক কাহিনী আসবে জানো তো গো- অমৃতার চোখ অতলের নিচে যে শুয়ে আছে তার উপর।
হামাগুরি দিয়ে সেরকমই একটা গল্প উঠে এলো
এই চিঠি বেযে়……..
একটা ব্লেডের উপর কিছু লিখতে লিখতে হাতের ভিতর থেকে সব কালির রঙ বহুমুখী লাল হয়ে যাচ্ছে।
ছেলেটা বলে গেল ও আবার আসবে,…. এলো … আবার এলো না। একটা সিংহের কেশরের মতো ঘন আকাশের ভিতর থেকে গলি বার হয়েছে, – হয়েছে——- কোথায় শেষ? দেখা যায় না যা,তাও থাকে , দেখা আর থাকা এক হয় না, কিন্তু দুটো মানুষে ভাগ হয়ে যায় চোখ……… ছেলেটা এক গান গাওয়া পুরুষের সঙ্গে ছোঁয়া ছুই খেলে।
ছেলেটা বলে গেল আসবে,কিন্তু সেই বিরাট আকারে কি যেন একটা দিয়ে নখ না হাতুড়ি—- দু ভাগে ভাগ করে নিয়ে বার হয়ে এলো।
রাস্তার ওপারে একজনের জন্ম মুহূর্তেই বয়স হলো ৩০,যা কিনা ওই ব্লেড-কাগজের ভবিষ্যতে লেখা ছিল।
আমি এখন এই একের মধ্যেই দুখন্ড মেয়েকে দেখে নি নতুন মুখের চোখ দিয়ে । মেয়েটা প্লট বানাতে পারে না,তাই বন্য ভাবে আরেকটা হাত খিমচে ধরে। কীভাবে,কেন,….. ধরে খিমচে….. মিথ্যা কথা বলে পুরনো বন্ধুদের।
নারীকে সে আলো বলে,একটা নিও-লিবারাল আলো,আলোর জন্য সবচেয়ে বেশি হাত বার করে সময়,চামড়া আর চোখ।
এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ লাইন লিখবে ঐ ছেলাটা যার কাল বয়স হবে ৩০বছর ১দিন,,,,,, ও এখন ব্লেড আর আলো দিয়ে কাগজে শেষ লাইনটা লিখবে বলে জঙ্গলের দিকে লুকিয়ে পরবে মেট্রোর ব্রিজ টপকে।