ভাবতে বসেছে টুকাই। কাকে বলে স্বাধীনতা ? এই যে ইস্কুলে পতাকা উড়িয়ে এল সবাই।
খুব চিন্তায় পড়ে গেছে মেয়েটা।
স্বাধীন যদি সত্যি হই, তবে ইচ্ছে মত খাবার, সাজ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হওয়া উচিৎ ? কিন্তু বাবা আবার বলছে, স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচার নয়।
বড্ড গুলিয়ে দেয় এরা সব কিছুকে।
আচ্ছা। সব কিছু সীমাহীন চলবে না, তাতে ক্ষতি হবে। এটুকু বুঝতে পারছিল টুকাই।
কিন্তু সেটা জানানোর জন্য তর্জন গর্জন এবং বিশ্রী ভাষা বলার অধিকার কি স্বাধীনতা ? তা হলে সেটা না শোনার স্বাধীনতা ত টুকাইদের ও আছে। আঠারো হয়ে গেছে ত ওর ও।
কোথায় আটকাচ্ছে ?
তলানো চিন্তারা জবাব দেয়।
টাকায় আটকাচ্ছে রে।
ভাত খাবার পয়সা, ইস্কুলের
মাইনে, আলুকাবলির দাম, নতুন জুতো, টিপের পাতা, এই সব দিয়ে আটকাচ্ছে।
টুকাই পিঠ সোজা করে বসে।
বুঝলাম, স্বাধীনতা মানে নিজের পয়সা। আর কিচ্ছু না।
এইগুলো নিজে যদি কিনে নিতে পারি, তবে কেউ একটা খারাপ কথা বল্লেও শুনব না। কানে আঙুল দিয়ে হেঁটে চলে যাব।
গম্ভীরমুখে ঘরের ভেতর গিয়ে হোম ওয়ার্কের খাতা খোলে টুকাই। অফিসে যেতে গেলে পড়তে হবে।
স্বাধীনতা কেনা যায়। পতাকা দিয়ে শুধু স্বাধীনতা আনা যাবে না।