কবিতায় বলরুমে সঙ্কর্ষণ

শার্দূল

একটু একটু করে আমার দিকেই ধেয়ে আসছে ওরা।
মানপত্র পিছিয়ে পড়ছে হঠাৎ, কখনো বা স্মারক
সুদৃশ্য, বাঁধাই, ছুঁয়েছে হাত এবং…
এবং ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি আমি।
বুঝতে পেরেছি ঘুম ভেঙে গেছে।
খাঁ খাঁ করছে সুদৃশ্য আলমারি।
সেখানে কটা বাঁধানো খাতা পড়ে আছে মোটে।
প্রকাশকের আদর না পেয়ে
ওদের পাণ্ডুলিপি হওয়া হয়নি আর…
যেমন করে গলায় চেন না পরে
‘কুত্তা’ থেকে ‘ডগি’ হতে পারেনি নিঘিন্নে নেড়িগুলো।
বুকের মাঝে সেই চেনা রক্তক্ষরণ,
সেই চেনা ব্যর্থতা… বাধ্য আমি প্রতিবেশী করতে।
দুটো প্রতিবিম্ব চেয়ে আছে মুখের দিকে…
আয়নারটা আমারই মতো নিষ্প্রভ,
কিন্তু আলমারির কাঁচে প্রতিবিম্বের বিস্ফোরণ।
প্রবল আক্রোশে ভেঙে ফেলা স্মারক ঘিরে
হাজার জোড়া বিস্ফারিত চোখ…
দাবানল ছাপিয়ে উঠে আসছে নিজেকে নিজের হাততালি,
গর্বিত দাঁড়িয়ে রিক্ত অতীত, গর্জনরত আগ্রাসী বর্তমান।
বুঝতে পারছি ঘুম আসছে… স্বপ্ন আসছে,
পুরস্কার আসছে… সেই মানপত্র, সেই স্বীকৃতি,
আমি আবার ছুঁড়ে ফেলে দেবো।
পোষ তো বাঘেও মানে…
কবিতা বড়ো হিংস্র।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।