T3 || রবি আলোয় একাই ১০০ || সংখ্যায় ঋত্বিক সেনগুপ্ত

রবিঠাকুরের সঙ্গে দেখা হলে

আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
আমার ছোট ভাই, প্রথম শ্রেণীর। ছন্দ ধরে পাঠ করে চলেছে – “কাল ছিল ডাল খালি, আজ ফুলে যায় ভরে, বল দেখি তুই মালি, হয় সে কেমন করে…”
আচমকা থেমে বাবাকে জিগেস করল, এটার মানে কী?
বাবা বলেছিলেন, বাকিটা পড়ো, কত সহজ করে ছোটদের বুঝিয়েছেন – তাই তো সহজ পাঠ!
ভাইয়ের তাৎক্ষণিক প্রশ্ন, “তাহলে বড়রা বুঝবে কি করে?”
মা বললেন, “বড়দের বোঝানোর জন্য অনেক গান-গল্প-কবিতা লিখেছেন- তাই উনি মহান “।
বাবা বললেন, “বহু বছর আগে লিখেছেন, কিন্ত মন দিয়ে পড়লে, এখনও অনেক শেখার আছে, শুধু বাঙালির নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের – তাই বিশ্বকবি”।
“সবাই পড়ে?”, প্রশ্ন ভাইয়ের, “যে পড়ে না, সে কি করবে?”
বাবা বলেছিলেন, “যে গরমকালে ঠান্ডা জলে স্নান করেনি, তার কি হবে, সেটা, যে করেছে সে কেমন করে বলবে – তুমি এখন পড়ো”

আপনার সাথে যদি দেখাই হল, মনে পড়ছে, বাবার সেই কথাটাই – “যে গরমকালে ……তার কি হবে!”
আসলে, চোখের সামনেই দেখছি –

এই যেমন বছর কয়েক আগে, কলকাতার এক কোন “সদনে”, আপনার জন্মজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে- মঞ্চের প্রেক্ষাপটে আপনার ছবি, আর তার নীচে, তারিখ, আর

তার নীচে অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা সংস্থার নাম আর লোগো।
আপনার পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন, নাকি আপনাকে ওদের প্রয়োজন? তা’ও তারিখ লিখে –
জানিনা কেন, মনে হল অনেকের ” রবি-সাহিত্যে ” স্নাত” হবার প্রয়োজন ছিল, – আপাতত তারা পায়ের পাতা ধুয়ে কাজ সারছেন!

বড্ড ধুসর আগামী।

আপনার লেখাতেই ছায়া খুঁজছি :
“…ভাল মন্দ যাহা’ই আসুক, সত্যেরে লও সহজে”।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।