সম্পাদকীয়

“রোদের মধ্যে ছাতার দোহাই। শুধরে নেওয়া ভুলটাকে।
শহর, তোমার খবর শোনাও। ফুটেছে ফুল বৈশাখে।” ( শ্রীজাত )
বৈশাখের আগমন মানেই বর্ষবরণ উৎসব। ১লা বৈশাখ সমগ্র বাঙালি সম্প্রদায়ের তেরো পার্বনের আরও একটি পার্বন। কবে থেকে চালু হয়েছিল এই ১লা বৈশাখ? কৃষি কাজের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবর ১৫৪৮ সালে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ৫ই নভেম্বর ১৫৫৬ তার সিংহাসন আরোহণের দিন হতে তা কার্যকরী হয়।
একসময় নববর্ষ পালিত হতো অর্তব উৎসব বা ঋতু ধর্মী উৎসব হিসাবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। সে সময়, বাংলার কৃষকেরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার, অন্যান্য ভূস্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এই উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরি একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে- গঞ্জে, নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এই উপলক্ষে নতুন ও পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন। নতুনভাবে তাদের সাথে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। এই ছিল হালখাতার মূল বিষয়। আজও নানা জায়গায় এই হালখাতার উৎসব পালিত হয়। অনেক জায়গায় বৈশাখী মেলার প্রচলন রয়েছে।
স্বাগত ১৪৩০। সবাই খুব খুব ভালো থাকবেন। নতুন বছরের একরাশ শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।
রীতা পাল