সম্পাদকীয়

 

বাংলা সাহিত্যে তিনি আকাশ,তিনি সূর্য,তিনি নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্য কৃর্তীর জন্য তিনি বাঙালির রক্ত স্রোতে আজও মিশে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে বাঙালি কবি, উপন্যাসিক,সংগীতকার,চিত্রশিল্পী,নাট্যকার, ছোট গল্পকার,প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। এক কথায় বহুমুখী প্রতিভা। বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয় ঘটেছিল তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে।
আজ আলোচনা করব তাঁর রসবোধ নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ এক গ্রামে গেছেন বেড়াতে। আপ্যায়নের মহা আয়োজন। খাওয়া-দাওয়া করবেন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বহু আইটেম দিয়ে গৃহস্বামী খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। কবি বসলেন খেতে। সঙ্গে আছেন শান্তিনিকেতনের ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী। গৃহস্বামী নিজে পরিবেশন করছেন। শাস্ত্রী মশাই ডিম খেতে গিয়ে বুঝলেন ডিমটা পচা। কি করবেন! আড় চোখে দেখছিলেন কবি কি করেন? কবিও ডিমটা পচা বলে বুঝলেন। ডিমটা ভাতের সঙ্গে মুখে দিয়ে দিলেন। মহা বিপদে পড়লেন শাস্ত্রী মশাই। পচা ডিম তিনি খাবেন কি করে? গুরুর দেখাদেখি তাঁকেও গিলতে হলো।
কিন্তু তার পেটটা তৎক্ষণাৎ প্রমাদ গুনল। সেই পচা ডিমটা এক মুহূর্ত সহ্য করলো না। শাস্ত্রী মশাই সঙ্গে সঙ্গেই বমি করলেন। পরবর্তীতে সুযোগ পেয়ে কবিকে জিজ্ঞাসা করলেন- আপনি এই পচা ডিমটা হজম করলেন কি করে? আমি তো খেয়েই বমি। রবীন্দ্রনাথ হেসে বললেন- আমি তো পচা ডিম খাইনি। তাই বমিও করিনি।
শাস্রী মশাই অবাক হয়ে বললেন – সে কি কথা? আমি স্বচক্ষে দেখলুম ডিমটা আপনি খেয়ে নিলেন।
কবি উত্তরে বললেন- আমি কি সেই ডিম খেয়েছি নাকি? আমি আমার সাদা দাড়ির ভেতর দিয়ে ডিম চালান করে দিয়েছি। এখন মানে মানে বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচি।
এই ছিলেন আমাদের রবি ঠাকুর।

রীতা পাল

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!