কিছু ভাই, অনাথ শিশু, পথের ধারে বাস,
ছিন্নবসনে, ভবঘুরে, দিন- রাতের উপবাস।
ভারতমাতার বীর সন্তান, সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী,
মঙ্গল আশে দেওয়ালে ফোঁটা আঁকে ভগিনী।
অনেক ভাই বিপথগামী, কর্মচ্যুত পরিযায়ী,
অকালেই যাদের জীবন সূর্য হয় অস্তগামী।
ফোঁটা হোক “অক্ষয় ফোঁটা ” সব ভাইয়ের তরে,
যাতে কোন ভাই আর বৃন্তচ্যুত না হয় অনাদরে।
ভাইফোঁটা নয় নিছকই উপাচার,এ এক অঙ্গীকার,
সহোদরার প্রতি ভাইয়ের আছে কিছু সামাজিক দায়ভার,
নারীর সম্ভ্রম,নারী সুরক্ষার নিতে হবে গুরুভার,
প্রতিটি নারীর মধ্যে আছে ভগিনীরূপ সুভদ্রার।
নির্বিচারে চলে আজও কন্যাভ্রূণ নিধন বা পণপ্রথার বলি,
আস্তাকুঁড়ে পরিত্যক্ত কন্যাশিশু বা নিরন্তর ধর্ষণের ভ্রুকুটি!
নারীর কাছে এ সমাজ নিরাপদহীন, লিঙ্গানুপাত ক্রম নিম্নমুখী,
শাসণে- শোষণে জেরবার বড় অসহায় আজকের নারী।
ভগিনীর অস্তিত্বই যদি হয় বিপন্ন, তবে ভাইয়ের মূল্যই বা কতখানি??
ভাইয়ের রক্ষাকবচ ভগিনীর সম্মান যদি হয় ভূলুণ্ঠিত,
তবে ভাইফোঁটার আনুষ্ঠানিকতার সার্থকতাই বা কতটুকু ??
ভাইফোঁটা হোক অক্ষয় ফোঁটা, আনুক সামাজিক বার্তা,
ভাই- বোনের অটুট স্নেহে সৌভ্রাতৃত্ব- সহমর্মিতার ছোঁয়া।
নারীর সম্মান উজ্জ্বল হোক তার আপন মহিমায়,
সমাজে নারী- পুরুষ সহাবস্থান পারস্পরিক শ্রদ্ধা- ভালোবাসায়।