গল্পবাজে রিতা মিত্র

চশমা 

বিয়ের পর থেকেই নিতার আব্দার সে নিজের শশুর বাড়ির যত আত্মিয় আছে তাদের সাথে পরিচিত হবে। কিছুদিন পর সে সুযোগ সামনে থেকে চলে এলো।
তার খুড়শাশুবড়ি নেমন্তন্ন পাঠালেন। বেশ বাক্সপ্যটরা রেডি, নিতাও। হাওড়া ষ্টেশন এ ট্রেনের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হল। অবশেষে চার ঘন্টা দেরি করে ট্রেন ছাড়ল।
নিতা প্রবাসী বাঙালি, সবুজের মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। ইঁট কাঠের জঙ্গলে তার দম বন্ধ হয়ে ওঠে। সে সাহসী, স্পষ্টবাদী, হাসিখুশি।
গ্রামের মাটির গন্ধ পেয়ে বেজায় খুশি।
 দুই বাড়ির দুই    বউয়ের বন্ধুত্ব জমে গেল খুব খোশ গল্প  হল।
তারপর নিতা খেতের আল ধরে হাঁটাহাঁটি করতে, গাছগাছালি দেখতে ব্যস্ত হলে নিতার শাশুড়িমা বললেন ‘ এই যে রুমা (খুড়তুতো  বউমা), তোমারে একডা কথা  কই, নিতার সাথে বেশি কথা   কইয়ো না। হে ভীষণ চালাক মাইয়া, তোমার প্যাট থাইকা সব খবর বার    কইরা আনব। ‘রুমা দরজার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে গেল। নিতার শাশুড়িমা কথা বলতে ব্যস্ত। রুমাও রান্না সকালের জল খাবারের জোগাড়ে ব্যস্ত । কাজ করছে, গল্প  চলছে। রুমার শাশুড়িমা সাস্থ্য সচেতন। সকালে উঠে হাঁটতে গেছেন।
 নিতার শাশুড়িমা ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলে চলেছেন। রুমা মাঝে মাঝে কিছু একটা দেখছে তবুও কোনো অজ্ঞাত কারণে চুপ করে আছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর নিতার শাশুড়িমা বললেন-‘আমার চশমাখানি  কই রাখসি মনে নাই,  বউমাটার তো কোনো কাণ্ডজ্ঞান নাই, দায়িত্বজ্ঞাননাই ‘বলে আসন ছেড়ে উঠতে যাবেন, দেখেন পেছনে নিতার হাতে চশমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!