T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় ডঃ রমলা মুখার্জী

শীতের সেই রাতদিন

শীত ক্রমশ বিলীয়মান সঙ্গে নিয়ে শীতের পিঠে-
মা বানাতেন ঝাল-নোনতা,কিছু আবার বেশ মিঠে।
পিঠে তৈরির পাঠ আজ আর রান্নাঘরে নেই-
মন চাইলে দোকানে বা মেলার মাঠে পাই।
রোদে পিঠ দিয়ে ঠাম্মি দিতেন গহনা বড়ি-
মায়ের আমলে গোল-গাল,স্বাদে আহা মরি !
কোনটা মশলা,কোনটা মুলো,কোনটা কলাই,মুসুর বড়ি-
এখন বড়ি দোকানে,প্যাকেট কিনে ঘরে ফিরি।
হারিয়ে গেছে শীতের কাঁথা,যুগটা বড় আধুনিক –
রকমারি বাহারি কম্বল,আগাগোড়া সিন্থেটিক।
হাল্কা শীতে মা বানাতেন পাতলা পাতলা সুজনি কাঁথা,
ওঃ,সে কি আরাম!মায়ের পরশ পা থেকে মাথা!
বাবার কাঁথায় ফুল,লতা,সুন্দর সে নক্সি-কাঁথা-
ঠাম্মী তুলতেন কাঁথাতে নক্সা,সে সব এখন গল্প কথা।
পুরনো কাপড়, পাড়ের সুতোয় অপরূপ শিল্প গাঁথা-
খুব শীতে ঠাম্মী নিতেন মোটা একটা লেপ-কাঁথা।
লেপ-কাঁথা লেপের মত, বেশ মোটা আকারে বড়-
আমিও ঢুকে পড়তাম তাতে ভীষণ শীতে হলেই জড়ো।
মা-ঠাম্মির গল্পগুলো কাঁথায় আছে সেঁদিয়ে-
নিখরচার কাঁথা-শিল্প কোথায় গেল হারিয়ে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।