কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে রবীন জাকারিয়া (গুচ্ছ কবিতা)

১| আসমানিরা

রসুলপুরে এখনো কিন্ত আসমানিরা থাকে
কেউতো কভু দেয়না সাড়া অনাহারির ডাকে
রইমুদ্দির মারা যাওয়ার অনেক বছর হলো
এ সময়ে আসমানির খোঁজ কে নিয়েছে বলো?
বৃষ্টি পড়ার ফুঁটোগুলো সাক্ষি বাড়ির ছাদে
সব কিছুই যে আগের মতো কান্নাটুকু বাদে
বাড়িটা আর নেইতো তাদের আছে ছোট্ট ঘর
বাকী অংশ বেচে দিয়ে মেয়ে করেছে পর
হাড়গুলো যে যায় না গোনা, মোটা গরনখানি
কিডনী রোগীর শরীরটাতো ভরা দিয়ে পানি
সবদিকে যে লাগছে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া
ভোট এলে’পর নেতারা সব নিচ্ছে গিয়ে দোয়া
জীবনটাকে বদলে দেবার কত অঙ্গীকার
এসব নেতা অদ্যাবথি থাকেন সঙ্গী কার?
দেখতে আসেন কত মানুষ “সাহেব-গোলাম-বিবি”
সেলফি তোলার আগে বলেন “মিষ্টি হাসি দিবি”
সাংবাদিকরাও যায় না বাদ তোলেন কত ছবি
আসমানিরাও বলতে জানেন “মানুষ কবে হবি”?

২| চেতনা

ভীষণ সাহসী আমি, বিপ্লবী অতি
আছে নজরুল চেতনায়
নিরন্ন জনতার হাহাকারে কেন
কাঁদিব না বেদনায়?
এখনো কত কাজ পড়ে আছে বাকী
কাঁধে আছে কত দায়
বেকার তবুও ভৃর্ত্য হবো না কভু
লুটেরার সেরেস্তায়
পুরোনো কফিন ভেঙ্গে আসে বারবার
হারামির বাচ্চার দল
মেহনতি মানুষকে বানাচ্ছে লাশে
তালা দিয়ে শিল্প-কল
মজুরের বধু তবে কি বেশ্যাই হবে
বেচে দিয়ে হাতিয়ার
এসিডে পোড়া, ধর্ষিতা নারী কাঁদে
ধরে কত বাজি আর?
খুবলে খাবে বলে গাঁট বেধেছে শেষে
হারামজাদা কতিপয়
রুখিতেই হবে ওদের, বধিতেই হবে
ওরা ভীরু অতিশয়৷

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!