কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে রবীন জাকারিয়া

স্বপ্নভাঙ্গা এক বিপ্লবী
মানুষের ভূমিকা, প্রহসনের শক্তি,
নির্বাচনে আলোকিত, বিপ্লবে এসেছে দৃঢ়তা।
ভোটের সমর্থনে, আবেগে মোহাময়,
বিশ্বাসের আলোয়, জনগণ সৃষ্টির গতি পায়।
আকাশে মেঘের আঁধারে, প্রহসন আসছে সারা দেশে,
মানুষের হৃদয়ে জ্বলছে আগুন বিশেষ।
ভোটের সময়ে স্বাধীনতা চিরস্থায়ী,
জনগণের কাছে প্রতি মুহূর্তে উৎসাহী।
প্রহসনের এক ক্ষণে, মুক্তির আলো ছুঁয়ে,
নির্বাচনের মহত্ত্ব বোঝা হৃদয়ে।
কোন দলের জয় হবে তা মৌনতা ভেঙ্গে,
মানুষের ইচ্ছাশক্তি বিশ্বাসের চেহারায় লোহিত হবে।
জাতীয় উন্নতির সময়,
প্রহসনে আসে নতুনত্ব,
বিপ্লবী ক্ষণে, জনগণ জেগে উঠে সামান্যই!
বিশেষ কোনো বিবেচনা রুদ্ধ করে,
স্তব্ধতায় নিমজ্জিত চারপাশ৷
হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো
আজো কোনো বিপ্লবী,
আজো কোনো জনপদে
সস্তা চুরুটের গন্ধমাখা মলিন
অথচ তেজোদীপ্ত কন্ঠে আগামীর
স্বপ্নমাখা ভোরের বুলেটিন বলে যায়
বুলেটের ভয়কে উপেক্ষা করে৷
যন্ত্রে নির্ভর সমাজ মানবিকতাকে ছুড়ে ফেলে
পারমানবিকতার স্পর্শে উদ্বেলিত
তাই আজ বিপ্লবী কিংবা বংশীবাদক
অনুসারীহীন নেহাতই পাগল৷
তবুও এক বিপ্লবের কবিতা, লেখা হয় ইতিহাসে,
উৎসবমুখর নির্বাচন, অধিকারের হাতিয়ার হাতছাড়া আজ৷ দাসখতে দস্তখত আর অসংখ্য স্বপ্নের মৃতদেহের সাথে আর কতকাল সহবাস করতে হবে
তা না জানে বংশীবাদক
আর নাতো বিপ্পবী৷